প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

Spread the love

দীর্ঘ দু’বছর ধরেই জরায়ুতে ক্যানসার রোগ বাসা বেঁধেছিল তাঁর। কাউকে জানতে দেননি কথাটা। একাই লড়াই করছিলেন বাংলা ছবির দুর্দান্ত অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার। কলকাতায় তাঁর টালিগঞ্জের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন অভিনেত্রী। বয়স হয়েছিল মাত্র ৬৫ বছর।

এটা চলে যাওয়ার বয়স না,” কাঁদতে-কাঁদতে বললেন তাঁরই নিকট এক বন্ধবী। তিনি টলিগঞ্জে ছবি তৈরি করেন। নাম রেশমি মিত্র। রেশমির ‘শ্লীলতাহানীর পর’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শ্রীলা একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। শ্রীলা-রেশমি এবং অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত একসঙ্গে টিম ছিলেন একটা। সকলেই বেঁধে-বেঁধে থাকতেন একে অপরের সঙ্গে। রেশমি বলেছেন, “আমি আর ঋতু জানতাম শ্রীলাদির ক্যানসারের কথাটা।

অভিনেত্রী শ্রীলা মুজমদারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্সে (সাবেক টুইটার) টুইট করে তিনি লিখেছেন, “ফিল্ম অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদারের মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করছি। ভারতীয় বহু ছবিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন তিনি। তাঁর চলে যাওয়া বাংলা ছবির অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।”

টালিগঞ্জে স্বামী-পুত্রের সঙ্গে থাকতেন শ্রীলা। মৃণাল সেনের ৬টি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেছিলেন। ১৯৮০ সালে মৃণাল সেনের ‘পরশুরাম’ ছবিতে কাজ করে অভিনয়ে হাতেখড়ি হয়ে শ্রীলার। তারপর ‘একদিন প্রতিদিন’, অকালের সন্ধানে, খারিজ, চোখের মতো ছবিতে অভিনয়ের ছাপ রেখে গিয়েছেন তিনি। শ্যাম বেনেগালের পরিচালনায় কাজ করেছেন ‘আরহণ’, ‘মান্ডি’র মতো ছবিতে। ঋতুপর্ণ ঘোষের চোখের বালিতে ঐশ্বর্যকে কণ্ঠ দিয়েছিলেন এই শ্রীলাই। ঐশ্বর্যর হয়ে ডাবিং করেছিলেন তিনি। শাবানা আজ়মি, নাসিরউদ্দিন শাহের সমসাময়িক এই অভিনেত্রী জিতেছেন অসংখ্য পুরস্কারও।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*