অশান্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা। বসিরহাটের মহকুমা শাসকের নির্দেশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সন্দেশখালি থানা এলাকার আটটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সুন্দরবনের দ্বীপ এলাকায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। পুলিশের তরফে চলছে মাইকিং। অশান্তির আশঙ্কায় ত্রস্ত স্থানীয়রা। বন্ধ দোকানপাট। শুনশান রাস্তাঘাট। এদিকে, শনিবার সন্দেশখালি থানায় যাওয়ার পথে রামপুরে বিজেপি প্রতিনিধি দলকে বাধা পুলিশের।
বুধবার বিকেল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বসিরহাটের সন্দেশখালি থানার ত্রিমোহিনী থেকে কাহারপাড়া, দাশপাড়া ও পাত্রপাড়ার মতো একাধিক গ্রাম। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে স্থানীয় তৃণমূলের তরফে সন্দেশখালিতে একটি মিছিল বেরোয়। পালটা মিছিল শুরু করে বিজেপি। আর তখনই উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। একে অপরকে বাঁশ, লাঠি, ইট ও লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করতে শুরু করে। প্রাণ বাঁচাতে দুই যুবক নদীতে লাফ দেয়। রায়মঙ্গল নদী সাঁতরে একটি লঞ্চে উঠে কোনওরকমে প্রাণরক্ষা করে। স্থানীয়দের দাবি, তাঁরা তৃণমূল কর্মী হিসেবেই এলাকায় পরিচিত।
বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি থানার উদ্দেশে মিছিল করেন স্থানীয় মহিলারা। লাঠি হাতে মহিলাদের মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। উর্দিধারীদের সঙ্গে বচসা স্থানীয় মহিলাদের। “এতদিন কোথায় ছিলেন?”, পুলিশকে প্রশ্ন বিক্ষোভকারীদের। সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার এবং শিবপ্রসাদ হাজরাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান গ্রামবাসীরা। শুক্রবারও নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। কেন গ্রেপ্তার করা হল না শিবু হাজরাকে? এই প্রশ্ন তুলে জেলিয়াখালি এলাকায় শিবু হাজরার আরও তিনটি পোলট্রি ফার্মে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় শিবু হাজরার বসতবাড়িতেও। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেন মহিলারাও। এই ঘটনার পরই গোটা এলাকাজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
Be the first to comment