চিরন্তন ব্যানার্জি:-
শান্তিপূর্ণ ছাত্র সমাজের উদ্যোগে নবান্ন অভিযানের মিছিলে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগে এবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে নোটিস পাঠালো জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। দু’সপ্তাহের মধ্যে অ্যাকশান টেকেন রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’। কোনও সংগঠন নয়, তাঁরা সমাজের প্রতিনিধি— এই মর্মেই নিজেদের পরিচয় দিয়েছিলেন নবান্ন অভিযানের ডাক নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করা তিন ছাত্র। গোড়া থেকেই রাজ্যের শাসকদল দাবি করেছিল, অরাজনৈতিক মোড়কে আসলে এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিজেপি এবং আরএসএস। এরপরই কর্মসূচি ঘিরে অশান্তি তৈরি হওয়ার আশঙ্কায় কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় শহর ও সংলগ্ন এলাকা। নবান্নে পৌঁছনোর বিভিন্ন রাস্তা ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় জলকামান, কাঁদানে গ্যাস। এই অভিযানে আহত হন বহু ছাত্র। অশান্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় কমবেশি ২০০ জনকে।
সূত্রের খবর, কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, পুলিশের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন চালানোর যে অভিযোগ উঠেছে, তা সত্য হলে চিন্তার বিষয়। পুলিশ শান্তিপূর্ণ জমায়েত সরাতে ‘অতিসক্রিয়তা’ দেখিয়েছে কি না, কিংবা দমনমূলক পদক্ষেপ করেছে কি না, কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। কমিশনের বক্তব্য, পুলিশের আচরণ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে কি না, তা সিপিকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এবং দু’সপ্তাহের মধ্যে অ্যাকশান টেকেন রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, পুলিশের তরফে বলা হয়, এই অভিযানে ছাত্রদের পাশাপাশি অন্যকেউ ছিল। ছাত্রদের তরফে এহেন হামলা করা সম্ভব নয়।
Be the first to comment