চিরন্তন ব্যানার্জি:-
গোটা রাজ্য জুড়ে আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে চলছে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। আর সেটাই হাতিয়ার করে সোমবার দেশের উচ্চ আদালতে আরজি কর মামলার শুনানির শুরুতেই দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করলেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিবাল।
কপিল এদিন বলেন, চিকিৎসা না পেয়ে এখনও পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারণ, সরকারি হাসপাতালে ডাক্তাররা কাজ করছেন না। কপিল সিবাল আরও জানান, একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট রাজ্য সরকারও সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আরজি কর ঘটনার গত শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্ট বারবার আবেদন জানিয়েছিল, ডাক্তাররা কর্মবিরতি তুলে নিন। এবং পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল কর্মবিরতি তুলে নিলে কারও বিরুদ্ধে যেন পদক্ষেপ করা না হয়। কিন্তু আরজি কর হাসপাতালে এখনও কর্মবিরতি ওঠেনি। জুনিয়র ডাক্তাররা, অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁরা শিবির করে রোগী দেখছেন। কিন্তু এরই মধ্যে আরজি কর হাসপাতালে এক যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ফের বিতর্ক মাথা চারা দেয়। এদিন সে ব্যাপারেই সর্বোচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কপিল সিবাল।
প্রসঙ্গত, ক’দিন আগেই আরজি কর হাসপাতালেই ২৮ বছরের তরুণের মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ ছিল, বিনা চিকিৎসায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃত তরুণের মা জানিয়েছিলেন, ”দুর্ঘটনার পর যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু কোনও ডাক্তার নেই, চিকিৎসা হচ্ছে না। টানা ৩ ঘণ্টা ছটকাতে ছটকাতে বিনা চিকিৎসায় ছেলেটা মারা গেল।” তিনি এও জানান, শ্রীরামপুরে প্রাথমিক চিকিৎসা করে, পা টা ব্যান্ডেজ করে আরজি করে স্থানান্তর করে। ৯টার মধ্যে নিয়ে চলে আসি। জরুরি বিভাগে টিকিট করার পর পাঠিয়ে দিল আউটডোরে, সেখানে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না। তারপরই কার্যত বিনা চিকিৎসায় যুবকের মৃত্যু হয় বলেই অভিযোগ ওঠে। যদিও সেই অভিযোগ খণ্ডন করেন চিকিৎসকরা।
Be the first to comment