রোজদিন ডেস্ক :-
ডায়মন্ড হারবারে বিচারকদের আবাসনে দুষ্কৃতী হামলা হয় গত ৮ সেপ্টেম্বর, রবিবার। অভিযোগ, আদালতের রায় পছন্দ না হওয়ায় একদল দুষ্কৃতী বিচারকদের আবাসনে ঢুকে বিদ্যুতের লাইন কেটে দিতে যায়। জেলা জজকে চিঠি দিলেন ডায়মন্ড হারবার আদালতের বিচারকেরা। পুলিশের বিরুদ্ধে দুষ্কৃতী মদতের অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা।
কি কারনে এই হামলা চলে তার অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায় গত ২৭ আগস্ট আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেদিন নবান্ন অভিযানে যাওয়া তিনজন মহিলা নেত্রীকে পকসো কেস দিয়ে গ্রেফতার করে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ। আদালত সূত্রের খবর, ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশ রিমান্ড চাওয়া হয়। আইন না মানায় বিচারক পুলিশ রিমান্ড দেননি। এরপরই গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে দুজন দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ অফিসার কুমারেশ দাস বিচারকদের আবাসনে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
এ হামলার বিষয়ে এক্স হ্যান্ডেলে সরব হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। বিচারকের লেখা চিঠি পোস্ট করে টুইটে সুকান্ত লিখেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গে এমনকি বিচার বিভাগও আক্রমণের মুখে! বিচারকের রায় পছন্দ না হওয়ায় গভীর রাতে তাঁদের আবাসনে হামলা চালানো হয় এবং ওই ষড়যন্তের যুক্ত ছিলেন এক পুলিশ অফিসারও।” সরব হয়েছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল ও সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও।
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন খোদ বিচারকেরাই। জেলা বিচারককে চিঠি লিখে নিজেদের নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের এসিজেএম আদালতের তিনজন বিচারক। সেখানে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে পুলিশ কর্তা কুমারেশ দাসের যুক্ত থাকার অভিযোগ এনেছেন তাঁরা। ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের রেজিস্টারকে চিঠি লিখেছেন জেলা বিচারক শুভদীপ মিত্র। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল তৈরি হয়েছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ডায়মন্ড হারবার এর পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী বিচারকদের নিরাপত্তার আর্জি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করছেন।
Be the first to comment