রোজদিন ডেস্ক :-
মধ্যপ্রাচ্যের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যুদ্ধের দামামার মধ্যে জরুরি বৈঠকে বসলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে বাণিজ্য এবং তেল আমদানি কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তার জেরে দেশে কেমন প্রভাব পড়তে পারে সেই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এই বৈঠকে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারের এই জরুরি বৈঠকে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। এছাড়াও ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি ক্রমেই আশঙ্কাজনক হয়ে উঠছে। আগামী দিনে সংঘাত আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। মধ্যপ্রাচ্যের অশান্তির আঁচ পড়তে পারে ভারতেও।
যুদ্ধ থামিয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুক বিপদমান দেশগুলো- নয়াদিল্লির তরফে একাধিকবার এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি যেন বিশ্বে আরও ছড়িয়ে না পড়ে, সেই আবেদনও জানানো হয়েছে ভারতের তরফে। তবে আগ্রাসী অবস্থান থেকে একচুল নড়তে নারাজ ইজরায়েল-ইরানের মতো দেশগুলো। মঙ্গলবারই তেল আভিভ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে তেহরান।
এহেন পরিস্থিতিতে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ভারত। যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে ব্যাপকভাবে বাড়ছে তেলের দাম। তার প্রভাব পড়ছে ভারতে। কারণ ইরানের মতো দেশগুলো থেকে তেল আমদানি করে ভারত। তেলের দাম বাড়ার প্রভাবে দেশে মূল্যবৃদ্ধি বাড়বে। তেল আমদানি ছাড়াও ব্যাহত হবে সমুদ্রপথে বাণিজ্য। লোহিত সাগর-এডেন উপসাগরে বন্ধ হতে পারে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল, তার জেরে ব্যবসায় ক্ষতি বাড়বে। একাধিক চিন্তার ভাঁজ কপালে নিয়েই জরুরি বৈঠকে বসেন মোদি।
Be the first to comment