দুর্গাপূজোর চারটি দিন জেলবন্দিদের রকমারি ভুরিভোজ

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক:-

মা দূর্গা সব্বার। জগৎ জননী তিনি। তাঁর আগমনে সর্বত্র সাজো সাজো রব পড়ে যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে সংশোধনাগারের বন্দিরাও যাতে উৎসবের আমেজে গা ভাসাতে পারে, সেই জন্যই সংশোধনাগারের বন্দিদের জন্যও বিশেষ আয়োজন করেছে রাজ্য সরকার। সারা বছরের ডাল-ভাত-রুটি-সবজির জায়গায় পাড়ার পংক্তিভোজের মতো তাদের জন্যও থাকছে রকমারি খাবারের বন্দোবস্ত।

বাইরের মানুষ যেমন এই কটা দিন হোটেল-রেস্তরাঁর খাবার খেয়ে থাকেন, তেমনই স্বাদেগন্ধে ভরপুর থালা সাজিয়ে খাবার দেওয়া হবে বন্দিদের।

শনিবার এক আধিকারিক জানান, কেউ যাতে মনে না করে তারা দুর্গাপুজোর আনন্দের থেকে অনেক দূরে রয়েছে। তাদের মুখেও একটু হাসি ফেরাতে দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আমূল বদলে যাচ্ছে খাদ্য তালিকা।
জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে এই রান্না করবে জেল বন্দিদেরই একাংশ, যারা রাঁধুনি হিসেবে কাজ করে।

খাদ্যতালিকায় রাখা হয়েছে, মাছের মাথা দিয়ে পুঁইশাক, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, লুচি-ছোলার ডাল, পায়েস, চিকেন কারি, আলু-পটল চিংড়ি, মাটন বিরিয়ানি, রায়তা এবং বাসন্তী পোলাও। তবে ধর্মীয় ভাবাবেগ ও বিশ্বাসের মূল্যবোধে সকলকে আমিষ খাবার দেওয়া হবে না। যারা নিরামিষাশী তাদের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে।

জেল আধিকারিক জানান, আমরা চাই এই কয়েকটা দিন তাদের প্রাত্যহিক রুটিন পরিবর্তন করতে। দুর্গাপুজোয় মাছ-মাংস ছাড়া আনন্দ মাটি। তাই আমরা সম্পূর্ণ বাঙালি খানার আয়োজন করেছি। তবে মাটন বিরিয়ানিও রাখা হয়েছে যা এখনকার বাঙালিদের ঘরের খাবার হয়ে উঠেছে, বলেন তিনি। বর্তমানে রাজ্যের ৫৯টি সংশোধনাগারে ২৬,৯৯৪ জন পুরুষ এবং ১৭৭৮ জন মহিলা বন্দি আছে।

এক আধিকারিক জানান, বন্দিরা অনুরোধ করেছিল, পুজোর জন্য কিছু রকমারি খাবার অন্তত এই কটা দিন দিতে। এ বছর আমরা নতুন মেনু পেয়েছি। আশা করি এইসব খাবার বন্দিদের মুখে হাসি ফোটাবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*