শৃঙ্খলারক্ষায় জোর, ৩টে শোকজ নোটিশের পরই সাসপেন্ড, কে কোন ইস্যুতে বলবেন তাও ঠিক করে দিলেন মমতা

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :-   দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় আরও কঠোর হলো তৃণমূল। তৈরি করা হলো তিনটি কমিটি। একটি সংসদীয়, একটি পরিষদীয় এবং দলীয় স্তরে। সোমবার কালীঘাটে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পর এমনটাই জানালেন দলের অন্যতম মুখপাত্র চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

রাজ্যের ছয় বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে ব্যাপকভাবে জয়লাভের পরই শৃঙ্খলারক্ষায় আরও কঠোর হল তৃণমূল। শৃঙ্খলারক্ষায় ৩টি কমিটি গঠন করেছে। আজ কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পর একথা জানিয়েছেন দলের অন্যতম মুখপাত্র চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনটি কমিটির একটি সংসদীয়, একটি পরিষদীয় এবং দলীয় স্তরে কাজ করবে। কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তাঁকে শোকজ নোটিস দেওয়া হলে জবাব দিতেই হবে। পরপর ৩টে নোটিসের জবাব না দিলে ওই সদস্যকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হবে। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, বৈঠকে নতুন কয়েকজনকে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য করা হয়েছে। এছাড়া মুখপাত্র হিসাবে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন নেতানেত্রীকে।
চন্দ্রিমা জানান, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, মানস ভুঁইয়া, মালা রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও জাভেদ খানকে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য করেছে তৃণমূল। যে ৩টি শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছে তার মধ্যে সংসদের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে থাকবেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও নাদিমুল হক।
দলের যে আলাদা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গঠন হল তার সদস্য হবেন সুব্রত বক্সি, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, সুজিত বসু ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে থাকবেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, নির্মল ঘোষ, দেবাশিস কুমার, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
মুখপাত্রের দায়িত্বও ভাগ করে দিয়েছে তৃণমূল। জাতীয় ক্ষেত্রে রাজনীতি ও সংসদীয় বিষয় নিয়ে বলবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, কীর্তি আজাদ, সুস্মিতা দেব, সাগরিকা ঘোষ। এছাড়াও অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরবেন, অমিত মিত্র ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শিল্প সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বলবেন, শশী পাঁজা, পার্থ ভৌমিক। উত্তরবঙ্গ নিয়ে মুখপাত্র করা হয়েছে, গৌতম দেব, উদয়ন গুহ ও প্রকাশ চিক বরাইককে। বিধানসভা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বলবেন, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মানস ভুঁইয়া, মলয় ঘটক, শশী পাঁজা, কুণাল ঘোষ ও সুমন কাঞ্জিলাল।
অর্থাৎ, যে কেউ, যখন তখন চাইলেই যে সব বিষয়ে মন্তব্য করার আর সুযোগ থাকল না নেতানেত্রীদের কাছে তা৷ আজকের বৈঠকের পর স্পষ্ট হয়ে গেল আরও।
এদিনের বৈঠকে মমতা অভিষেকের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজেশ ত্রিপাঠি, সুব্রত বক্সী, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বোস,  অরূপ বিশ্বাস, পার্থ ভৌমিক, সুস্মিতা দেব, গৌতম দেব, মলয় ঘটক, অনুব্রত মণ্ডল, বীরবাহা হাঁসদা, বুলুচিক বরাইক, অসীমা পাত্র-প্রমুখেরা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*