রোজদিন ডেস্ক :- বিধানসভা নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের পর বৃহস্পতিবার বিকালে ঝাড়খণ্ডের ১৪-তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেন। তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি-সহ দেশের একাধিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব।
এদিন রাঁচির মোরাবাদী ময়দানে বিকালে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন হেমন্ত সোরেন। রাজ্যপাল সন্তোষকুমার গাঙ্গওয়ার তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। এদিন তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে বসেছিল রাজনৈতিক নেতাদের চাঁদের হাট। এদিন একই মঞ্চে মমতা – রাহুল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, বিহারের বিরোধী দলনেতা আরজেডির তেজস্বী যাদব, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার, পঞ্জাবের আপ মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু, আম আদমি পার্টির আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উদ্ধব ঠাকরে, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি সহ বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র একাধিক নেতা। এদিন হেমন্ত সোরেন একাই শপথ নেন।
সূত্রের খবর, মমতারই দেওয়া ‘সময়’ মেনে বৃহস্পতিবার শপথের দিন স্থির করেছিলেন ঝাড়খন্ডের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী। সেই মঞ্চে যে কংগ্রেসের সাংসদ রাহুল থাকবেন, তা নিয়ে সে ভাবে আগে আলোচনা হয়নি। তবে এদিন মমতা – রাহুল একই মঞ্চে থাকলেও পাশাপাশি আসনে বসতে দেখা গেল না। দু’জনের মধ্যে বেশ কয়েকটি আসনের দূরত্ব ছিল। দু’জনকে একান্তে কথা বলতেও এদিন দেখা যায়নি।
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে বারহায়িত বিধানসভা কেন্দ্রে ৩৯,৭৯১ ভোটে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে জেতেন হেমন্ত। লোকসভা নির্বাচনের পর ইন্ডিয়া জোট একের পর এক ধাক্কা খেয়ে চলেছে। এর আগে হরিয়ানায় কার্যত ‘নিশ্চিত জয়’ হাতছাড়া হয়েছে কংগ্রেসের। মহারাষ্ট্রেও মহা বিকাশ আঘাড়ি মহাজুটিকে সমানে সমানে টক্কর দেবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। কিন্তু মারাঠাভূমে একপেশেভাবে জয় পেয়েছে বিজেপি জোট। ইন্ডিয়া জোট কার্যত ধরাশায়ী। সেখানে একমাত্র হেমন্ত সোরেন ইন্ডিয়া জোটের মানরক্ষা করেছেন। গোটা দেশে হতাশার মধ্যে হেমন্তই আশার আলো। সম্ভবত সেকারণেই তাঁর শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানকে মেগা শো হিসাবে তুলে ধরতে চেয়েছে ইন্ডিয়া জোট। আর তাই এদিনে হেমন্তর শপথগ্রহণের মঞ্চ ছিল কার্যতই চাঁদের হাট।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি জমি দুর্নীতির আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেপ্তার হন হেমন্ত। তার আগেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। জেএমএমের চম্পাই সোরেন মুখ্যমন্ত্রী হন। প্রায় পাঁচ মাস জেলে থাকার পর গত ২৮ জুন হেমন্তকে জামিন দেয় ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। এর পরই চম্পাই ইস্তফা দিলে মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে কামব্যাক করেন তিনি। এবার নির্বাচনে জিতে নতুন করে মসনদে ফিরে এলেন তিনি।
Be the first to comment