রোজদিন ডেস্ক :- সোমবার সরকারের সঙ্গে আলু ব্যবসায়ীদের বৈঠক থেকেও মিলল না কোনও সমাধান সূত্র। মঙ্গলবার থেকে আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট বহাল থাকছে। ফলে আলুর দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েই গেল। এমনিতেই বাজারে জ্যোতি আলু ৩২ ও চন্দ্রমুখী আলু ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোনও কোনও বাজারে আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
সোমবার খাদ্য দফতরে আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও সরকারি আধিকারিকদের বৈঠক হয়। কিন্তু ভিন রাজ্যে আলু রফতানিতে অনুমতি না দেওয়ায় ধর্মঘটের পথেই হাঁটছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও মন্ত্রীর দাবি, আলু ব্যবসায়ীরা ফের বৈঠক করে সদর্থক ভূমিকা নেবেন। নতুবা সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
যদিও, প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। মন্ত্রী আমাদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। কিন্তু হাতেগোনা যে ক’জন প্রতিনিধি বৈঠকে
উপস্থিত ছিলাম, তাঁদের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব ছিল না। তাই সোমবার মধ্যরাত থেকে আমাদের ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত জারি থাকছে।”
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরকে আড়ালে রেখেই ভিনরাজ্যে আলু রফতানির যে অভিযোগ উঠেছিল, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা সোমবার জানিয়ে দেন ‘বাংলায় আলুর দাম বাড়িয়ে অন্য রাজ্যে আলু পাঠিয়ে বাড়তি মুনাফা লুটবে, আর আমি ইনসিওরেন্সের ব্যবস্থা করব, দুটো জিনিস একসঙ্গে চলতে পারে না। এই জিনিস আমি বরদাস্ত করব না।’
তাই এই অচলাবস্থা কবে কাটবে তা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তবে মঙ্গলবার হুগলির তারকেশ্বরে ব্যবসায়ী ভবনে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। তাই সেদিকেই এখন নজর থাকছে।
অন্যদিকে, বৈঠক শেষে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচরাম মান্না বলেন, “আলু ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যেই বস্তা পিছু ৩০০ টাকা করে লাভ করেছে। এবার বেশি দামের আশায় হিমঘর থেকে বাছাই করে অতিরিক্ত মূল্যে বাজারে আলু পাঠাচ্ছে। তাই খুচরো মার্কেটে আলুর দাম বাড়ছে। সরকার সুফল বাংলার মাধ্যমে ৫৯৪টি কাউন্টার থেকে কম দামে আলু বিক্রি করছে। গ্রামীণ ক্ষেত্রে ২৫ টাকা এবং শহরাঞ্চলে ২৬ টাকা দামে আলু বিক্রি হচ্ছে। মঙ্গলবার ব্যবসায়ীরা জরুরি বৈঠক করে নিজেদের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিক। আলুর ধর্মঘট হলেও সরকার পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্যে মানুষের কল্যাণ ও চাহিদা পূরণের জন্য যে কোনও কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।
Be the first to comment