মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী পদের জট ছাড়াতে পাঠানো হল মোদী-শাহর বিশ্বস্ত দুই পর্যবেক্ষক

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :-  একেই বলে বোধহয় ম্যারাথন নাটক। মহারাষ্ট্র ভোটের ফলপ্রকাশের পর কেটে গেল ১০টা দিন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কে হবে?, তা নিয়ে এখনও জলঘোলা চলছে। এখনও সরকার গঠনের দিকে একচুলও এগোতে পারেনি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া মহাযুটি। একনাথ শিণ্ডে না দেবেন্দ্র ফড়ণবিস, কে বসছেন কুর্সিতে, সেই নিয়েই চলছে জল্পনা। সেই জট কাটাতে এবার কেন্দ্রীয় স্তর থেকে দু’জনকে পর্যবেক্ষক হিসাবে পাঠানো হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। একজন নির্মলা সীতারমণ এবং অন্যজন বিজয় রূপাণি।

সোমবার সকালে বিজেপির এক নেতা দাবি করেছিলেন, ‘সরে যাচ্ছেন একনাথ শিণ্ডে। ফের মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। বিজেপি-র নতুন পরিষদীয় নেতা বেছে নেওয়ার জন্য ২ বা ৩ ডিসেম্বর বৈঠক হবে।’ তখন মনে করা হয়েছিল মহারাষ্ট্রে গত কয়েকদিন ধরে চলা রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবার শেষ হতে চলেছে। কিন্তু বেলা যত বাড়তে লাগল, তখন জানা গেল বিজেপি মহারাষ্ট্রে পরিষদীয় দলের বৈঠকে পর্যবেক্ষক হিসাবে পাঠানো হচ্ছে নির্মলা সীতারমণ এবং বিজয় রূপাণিকে।
নির্মলা সীতারমণ এবং বিজয় রূপাণি দুজনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বিশ্বস্ত। নির্মলা দীর্ঘদিন কাজ করছেন অর্থমন্ত্রী হিসাবে। আর রূপাণি কাজ করেছেন মোদি-শাহর নিজের রাজ্য গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। মোদি-শাহদের বিশ্বস্ত দুই দূতের মূল কাজ হল মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিধায়কদের নেতা নির্বাচন করা। বিজেপি থেকে যদি মুখ্যমন্ত্রী হয়, তাহলে বিধায়কদের নেতা যিনি নির্বাচিত হবেন তিনিই মুখ্যমন্ত্রী পদে বসবেন। এই মুহূর্তে লড়াইয়ে ফড়ণবিসই এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে হাল যে ছাড়ছেন না একনাথ শিণ্ডে, তা স্পষ্ট। এদিন বিতর্ক আরও বাড়িয়ে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে ইশারায় বুঝিয়ে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রী পদ কোনওভাবেই ছাড়তে নারাজ তিনি।
একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘মহারাষ্ট্রের মানুষ আমাকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চান।’ ওই সাক্ষাৎকারে শিণ্ডে আরও জানান, ‘আমি সর্বদা বলে এসেছি আমি শুধু মুখ্যমন্ত্রী নই, বরং কমন ম্যান হয়ে কাজ করেছি। সাধারণ মানুষের সমব্যাথী হয়ে তাঁদের সমস্যা ও কষ্ট দূর করার চেষ্টা করেছি। স্বাভাবিইকভাবে মানুষ মনে করেন আমারই মুখ্যমন্ত্রী পদে বসা উচিত।’
দিল্লির দুই পর্যবেক্ষককে প্রথমে যেটা করতে হবে, সেটা হল একনাথ শিণ্ডেকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে রাজি করানো। তবে এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে শিণ্ডেকে বেশ অনড়ই শোনাচ্ছে। আরও একটা বিষয় একনাথ শিণ্ডের শিবির থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, ফড়ণবিসকে মুখ্যমন্ত্রী করে একনাথের ছেলে শ্রীকান্তকে উপমুখ্যমন্ত্রী করার যে ছক করা হচ্ছিল, সেটাও তাঁদের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। শ্রীকান্ত শিণ্ডে নিজেই বলছেন, এই ধরনের খবরের কোনও সত্যতা নেই।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*