রোজদিন ডেস্ক :- দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে অপরাধীকে ফাঁসির সাজা শোনাল বারুইপুর আদালত। বৃহস্পতিবার ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বারুইপুরের ফাস্ট অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জাজেস কোর্টের বিচারক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার রায় ঘোষণা করেন তিনি। পাশাপাশি, মৃতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
মামলার রায়দানের পর সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানান, নৃশংস ঘটনা। বিরল ঘটনা। তাই ফাঁসির আবেদন করা হয়েছিল। বিচারক দোষীকে ফাঁসির সাজা দিয়েছেন। এই মামলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ডিএনএ প্রোফাইল মিলে গিয়েছে। ফলে সন্দেহের আর কোনও অবকাশই থাকে না।
গত ৪ অক্টোবর গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই নাবালিকা। মেয়ে বাড়ি না-ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের লোকজন। স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে প্রথমে যাওয়া হয়। গভীর রাতে বাড়ির কাছে জলাজমি থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। ওই রাতে গ্রেপ্তার হয় ওই তরুণ। পরদিন সকালে পুলিশ, স্থানীয় নেতারা এলাকায় গেলে, তাঁদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। হামলা চলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতেও। ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে পকসো ধারা যুক্ত করা হয়। ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে শাস্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করা হয়। ঘটনার ২৬ দিন পর, গত ৩০ অক্টোবর চার্জশিট পেশ করে তদন্তকারী দল। ৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। মোট ৩৬ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল ওই মামলায়। এদিন সকালে উনিশ বছরের ওই তরুণের সাজার মেয়াদ নিয়ে শুনানি ছিল। দু’পক্ষের আইনজীবী এবং দোষীর বক্তব্য শোনার পর রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারক। এরপর বিকেলে রায় ঘোষণা করেন তিনি।
Be the first to comment