জয়নগর কাণ্ডে ফাঁসির ঘটনায় রাজ্যের পুলিশকে ভূয়সী প্রশংসা মমতা – অভিষেকের 

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :-  জয়নগরে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ২ মাসের মাথায় ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত। শুক্রবার দুপুরে অভিযুক্ত মুস্তাকিন সর্দারকে ফাঁসির আদেশ দিল বারুইপুর আদালত। এই রায়দানের পরই, এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পুলিশের তৎপরতা নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করলেন।

The accused in the case involving the brutal rape and murder of a minor girl in Joynagar on 4.10.24 has been sentenced to death today by the POCSO court at Baruipur just within 62 days of the ghastly incident. Conviction and capital punishment in such a case in just over two…


শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘মাত্র দু’মাসের মাথায় বিচার ও ফাঁসি সাজা রাজ্যের ইতিহাসে নজিরবিহীন।’
এদিন এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, ‘জয়নগরে নাবালিকা খুন ও ধর্ষণের মামলায় ৬২ দিনের মাথায়  অভিযুক্তর ফাঁসির সাজা দিয়েছে বারুইপুরের পকসো আদালত। এই ধরনের মামলায় মাত্র দু’মাসের মাথায় বিচার ও ফাঁসি সাজা রাজ্যের ইতিহাসে নজিরবিহীন। রাজ্য পুলিশ ও বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত ছিলেন, তাঁদের সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। রাজ্য সরকার মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ কোনওভাবেই বরদাস্ত করে না।’

এর পাশাপশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোষ্ট করেন, সেখানেও তিনি লেখেন, “আমাদের সমাজে ধর্ষকদের কোনো স্থান নেই। আপনি যদি অন্য ব্যক্তির শরীর, মর্যাদা এবং তাঁর জীবনের মৌলিক অধিকারকে সম্মান না করতে পারেন, তবে একজন মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠা পেতে আপনি ব্যর্থ। আমি পুলিশের কাছে এই তদন্তের প্রতি দায়বদ্ধ থাকার জন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞ, যা অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। মাত্র ২৫ দিনের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করা হয়, যা তাঁদের নিরলস পরিশ্রমের প্রমাণ। একইভাবে, ২৩ দিনের স্বল্প সময়ের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার জন্য আমি বিচার বিভাগকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। যদিও সর্বোচ্চ ন্যায়বিচারও কখনোই ভুক্তভোগীর পরিবারের অপূরণীয় যন্ত্রণা এবং ক্ষতির পরিপূরক হয়ে উঠতে পারে না। তাঁদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই, তাঁদের দুঃখের আমরা সকলেই ভাগীদার। আমিও তাঁদের কষ্টে, বেদনায় মর্মাহত। আমাদের হৃদয় তাঁদের জন্য সমব্যথী।”
এদিন তিনি কার্যত বিরোধীদের কটাক্ষ করে লেখেন, “আমি এটি আগেও বলেছি, এবং আমি আবারও বলব: প্রত্যেক ধর্ষক কঠোরতম শাস্তি – মৃত্যুদণ্ডের যোগ্য। সামাজিক জীব হিসেবে, এই জঘন্য সামাজিক ব্যাধি দূর করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমি বিশ্বাস করি যে দ্রুত, সময়সীমাবদ্ধ বিচার এবং শাস্তি – একটি শক্তিশালী প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করবে এবং একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠাবে যে এই ধরনের অপরাধ সহ্য করা হবে না। এই কারণে আমি, অপরাজিতা বিলকে আইনে পরিণত করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি যাতে, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের শাস্তি প্রদান করতে পারি।”
In cases of sexual offences, justice should be SWIFT and SEVERE!


অন্যদিকে, এই রায়দানের পর তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোষ্ট করে লেখেন, “যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার হতে হবে কঠোর! আজ, বারুইপুরের পকসো আদালত জয়নগরে একটি নাবালিকা মেয়েকে ভয়ঙ্কর ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ৬২ দিনের মধ্যে অভূতপূর্ব রায় দিয়েছে। আমি আমার কৃতজ্ঞতা জানাই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে। বিশেষ করে এসপি পলাশ ঢালীর নেতৃত্বে এসআইটি তাদের অসাধারণ কাজের জন্য রেকর্ড ২৫ দিনের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করেছে। পরবর্তী বড় পদক্ষেপ হল অপরাজিতা অ্যান্টি-রেপ বিলের দেশব্যাপী বাস্তবায়ন, কারণ শক্তিশালী আইন এই ধরনের নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করার একমাত্র উপায়।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*