রোজদিন ডেস্ক :- ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিলে সায় দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে ক্যাবিনেট বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয় হয়।
সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, সংসদের চলতি অধিবেশনে সরকারের অন্যতম অ্যাজেন্ডাই হল এই বিল পেশ। সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশন অচল থাকলে অথবা আগামী বছরের বাজেট অধিবেশনে বিলটি পেশ করা হতে পারে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সরকার বিলের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চাইছে। তাছাড়াও বিলটিকে সংসদীয় কমিটিতেও পাঠানো হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভার স্পিকারদের সঙ্গেও কথা বলতে চাইছে সরকার। ‘এক দেশ,এক ভোট’ লাগু করা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের কমিটি তৈরি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কমিটির সুপারিশ সেপ্টেম্বর মাসে গ্রহণ করে সরকার।
কী কী সুপারিশ করেছিল কমিটি?
সেই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ঠিক হয়েছিল ভারতীয় সংবিধানের ৮২-এ ধারায় দুটি উপধারা যুক্ত করা হবে। নির্বাচনের দিন-তারিখ থেকে শুরু করে লোকসভা ও বিধানসভার মেয়াদ কবে শেষ হবে সেই সংক্রান্ত তথ্য এখানে বলা আছে। এমতাবস্থায় লোকসভা এবং বিধানসভার নির্বাচন একসঙ্গে করতে হলে সংবিধানের এই অংশে সংশোধনী আনতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে।
নতুন ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় আইনি ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে ৮৩(২) ধারাতেও সংশোধন করা দরকার বলে অভিমত কমিটির। এছাড়া এখনেই ৩ এবং তার ৪ উপধারা যুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে। লোকসভার সম্পূর্ণ মেয়াদ থেকে শুরু করে কীভাবে এবং কোন পরিস্থিতিতে সময়ের আগে লোকসভার মেয়াদ শেষ হতে পারে তার বিবরণ আছে এখানে। এর পরিবর্তন না হলে নতুন ব্যবস্থা কখনই কার্যকর হবে না।
কমিটির সুপারিশে আরও বলা হয়েছিল, বিধানসভার সঙ্গে লোকসভা নির্বাচন করতে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ রাজ্যকে সহমত দিতে হবে এমন কোনও মানে নেই। তবে কেন্দ্রীয় সরকার যদি মনে করে লোকসভা এবং বিধানসভার সঙ্গে পঞ্চায়েত এবং পুরসভার মতো স্থানীয় ভোটও করাবে তাহলে অবশ্য ৫০ শতাংশ রাজ্যকে সহমত পোষণ করতে হবে।
পাশাপাশি পুদুচেরি থেকে শুরু করে দিল্লি এবং জম্মু কাশ্মীরের মতো কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের বিধানসভাগুলিকে নতুন ব্যবস্থার মধ্যে আনার জন্যও সংবিধানে কয়েকটি সংশোধন করতে হবে। এই তিনটি বিধানসভার জন্য ১৯৯১ ১৯৬৩ এবং ২০০৯ সালে তিনটি পৃথক আইন পেশ হয়েছিল। সেগুলিতেও বদল আনতে হবে।
Be the first to comment