রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- হাসপাতালে ভর্তি হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে দিল্লির এইমস হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর। ৯২ বছর বয়সি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক বলে প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু ঠিক কী কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই তিনি অসুস্থ। সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন অনেকদিন আগে। তবে এর মধ্যেও মোদি সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। লোকসভা নির্বাচনের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও সরারসরি আক্রমণ করেছিলেন মনমোহন। তারও আগে গতবছর দিল্লির আমলা-সংক্রান্ত একটি বিল নিয়ে চর্চা হচ্ছিল রাজ্যসভায়। হুইলচেয়ারে বসে সেদিন রাজ্যসভায় এসেছিলেন মনমোহন। এই কারণে তাঁর প্রশংসাও করেছিলেন মোদি।
অর্থনীতির এই উজ্জল ছাত্র কর্মজীবনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। সাতের দশক থেকেই আমলা হিসেবে ভারতীয় রাজনীতি এবং ক্ষমতার অলিন্দে তাঁর অবাধ বিচরণ ছিল। ভারত সরকারের অর্থ মন্ত্রকের উপদেষ্টা ছিলেন দীর্ঘদিন। পরে আরবিআইয়ের গর্ভনর হয়েছিলেন। আরও পরে ইউজিসির চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন তিনি।
সেখান থেকেই সরাসরি ক্ষমতার শীর্ষে আরোহণ মনমোহন সিংয়ের। জটিল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী হন নরসিমা রাও। তিনিই অর্থমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেন মনমোহনকে। এর ঠিক পরের বছরটি ভারতীয় অর্থনীতির জন্য় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । ১৯৯২ সালে উদার অর্থনীতির পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কেন্দ্রীয় বাজেটে সেই ঘোষণা করেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিং।
২০০৪ সালে কংগ্রেসের নেতৃত্বে তৈরি হয় প্রথম ইউপিএ সরকার। সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনমোহনকেই বেছে নেয় কংগ্রেস-সহ শরিক দলগুলি। ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মনমোহন। তবে তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বকে ঘিরে বিতর্কও কম হয়নি। একাধিক দুর্নীতিরও অভিযোগ উঠেছিল।
Be the first to comment