রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা :- মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ। সন্তান জন্ম দেওয়ার পরই অসুস্থ একের পর এক প্রসূতি। একজনের মৃত্যু হয়েছে। চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের। গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুখে কুলুপ এঁটেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত বুধবার মেদিনীপুর মেডিক্যালের মাতৃমা বিভাগে ভর্তি হয় কেশপুরের অমৃতপুরের প্রসূতি মামনি দাস। গতকাল থেকেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে প্রথমে আইসিইউ পরে ভেন্টিলেশনে স্থানান্তর করা হয়। শুক্রবার সকালে সেই প্রসূতির মৃত্যু হয়। হাসপাতাল চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। রয়েছেন কোতোয়ালি থানার আইসি-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।
প্রসূতিদের মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবার উত্তেজনা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং মাতৃমাতে। মাতৃমা বিভাগে ভর্তি হওয়া পাঁচ প্রসূতিকে স্যালাইন দেওয়ার পরেই তাঁরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান রোগীর পরিজনদের। রোগীর পরিবারের আরও অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল প্রসূতিদের। এরপর থেকেই একাধিক সমস্যা দেখা দেয় পাঁচ প্রসূতির। তড়িঘড়ি দু’জনকে সিসিইউ একজনকে আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়। স্যালাইনে ছত্রাক থাকার অভিযোগও করেছেন অনেকে।
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার থেকেই বিভিন্ন অভিযোগ আস্তে শুরু করে। মৃত প্রসূতির পরিবারের অভিযোগ, সন্তান সুস্থই ছিল। কিন্তু প্রসূতির শারীরিক অবস্থা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ তাদের অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে তারা জানতে পারেন, সন্তান জন্মের পর থেকেই প্রসূতিদের অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। রক্তক্ষরণ কিছুতেই বন্ধ হচ্ছিল না। হাসপাতালে সিনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে জুনিয়র ডাক্তার, কেউই ছিলেন না, এমনটাই দাবি প্রসূতিদের পরিবারের এক সদস্যের। এছাড়াও সরকারি মেডিক্যাল কলেজে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তারা। তাদের দাবি, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তাদের থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে কলকাতায় এসএসকেএম, এনআরএস হাসপাতালেও এই স্যালাইনের সমস্যার কথা উঠে এসেছিল। কয়েকদিন আগে কর্নাটকেও স্যালাইনের কারণে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর আসল কারণ জানতে ময়নাতদন্তে রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। ইতিমধ্যে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে প্রসূতিদের চিকিৎসা করা হচ্ছে।
Be the first to comment