রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা :- মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন কাণ্ডে জোড়া তদন্ত। স্বাস্থ্য প্রশাসনের পাশাপাশি প্রসূতি মৃত্যুর কারণ খুঁজে দেখবে সিআইডি। আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট দেবে তারা। ‘বিষ’ স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তিনি জানান, প্রসূতি মৃত্যুর নেপথ্যে চিকিৎসকদের গাফিলতি রয়েছে। বিস্তারিত রিপোর্ট এলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৃত্যুকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত কাউকে রেয়াত করা হবে না। মনোজ পন্থ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী সাফ নির্দেশ দিয়েছেন কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।
মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। আজ সেই রিপোর্ট হাতে পেতেই তড়িঘড়ি সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন মনোজ পন্থ। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনও রকম গাফিলতি বরদাস্ত করব না। পরিষ্কার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে বিস্তারিত তদন্তের কথা বলেছি। সেই তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ। বিস্তারিত রিপোর্টে যারাই দোষী প্রমাণিত হবেন, তাদের বিরুদ্ধেই কড়া পদক্ষেপ কড়া হবে। ছাড় পাবে না কেউই। স্বাস্থ্য দপ্তরের তদন্তের পাশাপাশি সিআইডি তদন্তও করা হবে।’
অন্যদিকে, মেদিনীপুর মেডিকেলে স্যালাইনের কারণে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ সামনে আসতেই স্যালাইনের গুণমান নিয়ে গোটা রাজ্যজুড়ে প্রশ্ন ওঠে। আদতেই কী ওই স্যালাইন ব্যবহারের কারণে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে নাকি অন্য কারণ রয়েছে? তা খতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে ১৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি প্রাথমিক পর্যায়ে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে গিয়ে স্যালাইনের নমুনা, ওষুধ সব কিছু সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য দপ্তরকে রিপোর্ট দেয়। তবে প্রশ্ন উঠছে অন্যখানে, যেই স্যালাইন অনেক আগেই নিষিদ্ধ কর হয়েছিল, তা কেন এতজন প্রসূতিকে দেওয়া হল? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মরিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তর।
Be the first to comment