নতুন বছর থেকে পুরীর জগন্নাথ দেব দর্শনের জন্য লাগু করা হচ্ছে নতুন নিয়ম

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- পুরীর মন্দিরে জগন্নাথ দেব দর্শনের জন্য এবার নতুন ব্যবস্থার ঘোষণা করলেন আইনমন্ত্রী পৃথিবীরাজ হরিচন্দন। দেবদর্শনের পথ আরও মসৃণ করতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে মত মন্দির কর্তৃপক্ষের। এই নতুন ব্যবস্থার ফলে পুণ্যার্থীদের দীর্ঘক্ষণ লাইনে আর দাঁড়াতে হবে না।

প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্তরা এই মন্দিরে আসেন। ঘণ্টার পর ঘন্টা ভিড় ঠেলে বিগ্রহ দর্শন করেন। তবে এখন থেকে জগন্নাথ দর্শন হবে আরও সহজ। আর ভিড় ঠেলে দর্শনার্থীদের জগন্নাথ দর্শন করতে হবে না। কারণ পুরীর মন্দিরে নতুন নিয়ম লাগু করা হয়েছে, মানতে হবে সকলকেই। তাই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ভক্তদের ভিড় সামলাতে নতুন নিয়ম চালু করছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। এতে করে যেমন ভিড় সামলানো যাবে, তেমনি বিগ্রহ দর্শন আরও সহজ হবে। এখন থেকে পুরীর মন্দিরে পুজো দিতে গেলে প্রত্যেককে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে তারপর পুজো দিতে হবে। জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকে এই নতুন নিয়ম চালু হওয়ার কথা ছিল। তবে মন্দিরের কিছু কাজের জন্য এই নিয়ম চালু হতে দেরি হয়ে যায়। কিন্তু নতুন বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই এই নিয়ম শুরু লাগু হচ্ছে। পুরুষ, মহিলা, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা নির্বিশেষে সকলকেই এই নিয়ম মেনে চলতে হবে।

যে নতুন নিয়ম চালু হয়েছে তাতে জানা গিয়েছে, এখন থেকে পুরীতে জগন্নাথ দর্শনের জন্য নারী-পুরুষদের জন্য আলাদা আলাদা সারি করা হচ্ছে। মোট ৬ টি সারি তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের কর্তৃপক্ষ। মহিলা এবং শিশুদের জন্য থাকবে একটি আলাদা লাইন। বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্যও আলাদা সারি থাকছে। সেই সাথে বয়স্কদের জন্যও থাকবে পৃথক লাইন। আর বাকি যে ৩ টি লাইন থাকছে সেটি শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য। অর্থাৎ সকলে আলাদা আলাদা লাইনে দাঁড়িয়ে পুজো দেবেন।
শুধু তাই নয় একই সাথে জানা যাচ্ছে, প্রত্যেক সারিতে ব্যারিকেড দেওয়া থাকবে যাতে একে অপরের লাইনে কেউ ঢুকে যেতে না পারে। এই বিষয় মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নাটমন্দিরের কাঠামোর কোনও ক্ষতি না করেই ব্যারিকেড বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর তার জন্য তাঁরা আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকেও অনুমতি পেয়েছেন। ভক্তদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এবং মন্দিরে ভিড় এড়াতেই এই নতুন নিয়ম চালু করা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*