‘বাবলার অসম্পূর্ণ কাজ করবে তাঁর স্ত্রী চৈতালি’, মালদার প্রয়াত নেতা দুলাল সরকারে বাড়িতে গিয়ে মন্তব্য মমতার

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- মালদার প্রয়াত তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার ওরফে বাবলার অসম্পূর্ণ কাজ করবে তাঁর স্ত্রী চৈতালি। সোমবার দুলাল সরকারের বাড়িতে গিয়ে চৈতালির সঙ্গে একান্তে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পর এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুলাল সরকার খুনের পর তাঁর স্ত্রী চৈতালি সরকার জানিয়েছিলেন, তিনি শুনতে পেয়েছিলেন দুলালকে ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান করা হতে পারে। তখনই জল্পনা ছড়ায় তাহলে কি দুলাল সরকারের ক্ষমতাবৃদ্ধিতে ঈর্ষা পরায়ণ হয়ে কেউ তাঁকে পথ থেকে সরিয়ে দিল? যদিও এই জল্পনায় কোনও সিলমোহর মেলেনি। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর মনে করা হচ্ছে, তৃণমূল দুলালপত্নী চৈতালি সরকারকে গুরুদায়িত্ব দিতে পারে। যদিও চৈতালি নিজে জানিয়েছেন, তিনি ওসব নিয়ে এখন ভাবছেন না, দুলাল সরকারকে যারা নৃশংসভাবে খুন করেছে তারা আগে শাস্তি পাক। এদিন মুখ্যমন্ত্রী দুলালের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বাবলা আমার চিরকালের পরিচিত, দলের নিরলস কর্মী ছিল, এলাকার মানুষের কাছেও পপুলার ছিল। আমি আগে সকালে ফিরে গেলে রাতে ফিরে আসতাম, মালদায় এরকম অনেক ঘটনার আমি সাক্ষী।’

এদিন তদন্ত নিয়েও আশ্বস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমি একা এসেছি, ডিটেলস আলোচনা করলাম, কিছু কথা আমার কানে এসেছে, এটা তদন্তের ব্যাপার, আমার সঙ্গে ডিজি, এসপির কথা হয়েছে। যে যত বড়ই হোক না কেন স্ট্রং অ্যাকশন নেওয়া হবে।’ মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে এসে দেখা করায় তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন চৈতালিদেবী। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ততার মধ্যেও এসে দেখা করায় আমি কৃতজ্ঞ। তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে কথাবার্তা হয়েছে, সবটা প্রকাশ্যে বলবার নয়, আমার যা বলার ছিল তার সবটা বলেছি, দিদি ধৈর্য্য ধরে শুনেছেন।’ তবে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে এই ঘটনার পেছনে সন্দেহভাজন কারও নাম বলেছেন কিনা তা জানতে চাওয়া হলে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি চৈতালিদেবী।
প্রসঙ্গত, গত ২ জানুয়ারি মালদায় পিছু ধাওয়া করে গুলি চালিয়ে খুন করা হয় মালদা তৃণমূলের সহ সভাপতি তথা ইংরেজবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার ওরফে বাবলাকে। এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রাথমিক ভাবে পুলিশকে দায়ী করেন তিনি। পুলিশ তদন্তে নেমে এই ঘটনায় তৃণমূলের মালদা শহর সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের দাবি, নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিই এই ঘটনায় মূল চক্রী। বাবলাকে খুন করতে ৫০ লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় এখনও অবধি মোট আটজন গ্রেপ্তার হয়েছে। আরও ৩ জন এখনও ফেরার রয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*