রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- বাঘাযতীন, কামারহাটি, ট্যাংরার পর এবার বাগুইআটির জগৎপুর ও দক্ষিণ নারায়ণপুর। ফের হেলে পড়া আবাসন নিয়ে আতঙ্ক। তাও আবার একটি নয়, পরপর দুটি বাড়ি বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়ল বিধাননগর পৌরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। অন্যদিকে, ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার দক্ষিণ নারায়ণপুরের একটি বাড়িও হেলে পড়েছে। দুই এলাকায় এভাবে বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। ঘটনায় শোরগোল পড়তেই আসরে নেমেছেন দুই কাউন্সিলর। তাঁদের দাবি, এসব আবাসন অনেক আগেই নিয়ম বহির্ভূতভাবে তৈরি হয়েছে। এনিয়ে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগুইআটির জগৎপুরের নেতাজি পল্লিতে পরপর দুটি বিল্ডিং হেলে পড়ার বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় বাসিন্দাদের। পরিস্থিতি এমনই যে একটি আবাসন আরেকটির গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে বলে মনে হচ্ছে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঝুঙ্কু মণ্ডল বাড়ি দুটি দেখতে যান। বিপজ্জনক ঘটনার কথা জানিয়ে বিধাননগর পৌরনিগমে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন কাউন্সিলর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নেতাজি পল্লিতে পুকুর বুঝিয়ে কয়েক ছটাক জমির উপরে গড়ে উঠেছিল দুটি বহুতল। আর সেই কারণেই কয়েক বছরের মধ্যেই বাড়ি দুটি একে অপরের দিকে হেলে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বাড়ির মালিক মিঠুন করকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি মুখ খুলতে চাননি। তবে যে কোনও সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, জীবনহানিও হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর ঝুঙ্কু মণ্ডল। সেইমতো তিনি বিধাননগর পৌরনিগমকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছে। তবে তাঁর দাবি, তাঁর সময়ে এসব বিল্ডিং তৈরি হয়নি। পূর্বতন তৃণমূল কাউন্সিলর আশা নন্দীর আমলে বহুতল দুটি তৈরি হয়েছিল। সেসময় নিয়ম মেনে তৈরি হয়নি বলে অভিযোগ আজকের কাউন্সিলরের।
অন্যদিকে, বিধাননগর পৌরনিগমের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ নারায়ণপুর অঞ্চলে একটি বিল্ডিং হেলে পড়েছে। অভিযোগ উঠছে, গোটা বিল্ডিংটাই অবৈধভাবে নির্মাণ হয়েছে। এনিয়ে ৩ নং কাউন্সিলর আরাত্রিকা ভট্টাচার্য বলেন, ”কয়েকদিন আগে এই বহুতলের কথা আমরা জানতে পারি। জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা এটা পুরনিগমে জানাই, কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়। ওই বিল্ডিংয়ে নার্সিং ট্রেনিং নিচ্ছে, এমন প্রচুর মেয়ে থাকে। তাঁরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে যে এতজন বাসিন্দাকে সরাতে সময় লাগবে। আশা করি, এক-দুদিনের মধ্যে শিফট হয়ে যাবে। তারপর বহুতলটা ভেঙে ফেলার অর্ডার দিক পুরনিগম, এই আবেদন জানিয়েছি আমরা।”
Be the first to comment