
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা :- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিমান দুর্ঘটনা। ওয়াশিংটনের কাছে রোনাল্ড রিগ্যান জাতীয় বিমানবন্দরে অবতরণের সময় যাত্রীবাহী বিমান ও সেনা হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ। এর ফলে নিকটবর্তী পোটোম্যাক নদীতে ৬৪ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ে বিমানটি। অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিমানটিতে ৬০ যাত্রী ও ৪ জন ক্রু মেম্বার ছিলেন। শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। ওয়াশিংটনের কাছে এই বিমানবন্দর থেকে সমস্ত উড়ান এবং অবতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে আমেরিকার রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে সেনাবাহিনীর একটি ব্ল্যাক-হক কপ্টারের সঙ্গে মাঝআকাশে সংঘর্য হয় আমেরিকান এয়ারলাইন্সের এই যাত্রীবাহী বিমানটির।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “এই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত৷” পাশাপাশি যাত্রীদের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “ঈশ্বর তাদের আত্মার মঙ্গল করুন।” বিমান দুর্ঘটনার খবর পেতেই তৎপরতা শুরু হয় মার্কিন পার্ক পুলিশ, ডিসি মেট্রোপলিটন পুলিশ ৷ মার্কিন সামরিক বাহিনীর একাধিক হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলের ওপর চক্কর দিতে শুরু করে।
ডিসি ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিস সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছে, তাদের ফায়ারবোট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং উদ্ধার অভিযান চলছে। ওয়াশিংটন ডিসি পুলিশ জানিয়েছে, পোটোমাক নদীতে বিমান দুর্ঘটনার পর একাধিক সংস্থা যৌথভাবে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।
ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে ক্যানসাসের উইচিটা থেকে ছাড়া একটি বিমান রানওয়েতে পৌঁছনোর সময় একটি মিলিটারি ব্ল্যাক-হক কপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। রিগ্যান ওয়াশিংটন জাতীয় বিমানবন্দরটি হল বিশ্বের সবচেয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত ও পর্যবেক্ষণ করা আকাশসীমার মধ্যে একটি। বিমানবন্দরটি হোয়াইট হাউস এবং ক্যাপিটল থেকে মাত্র তিন মাইল দক্ষিণে অবস্থিত। উদ্ধার কার্যের পাশাপাশি ঘটনার তদন্তুও শুরু হয়েছে। তদন্তকারীরা সংঘর্ষের আগে বিমানের শেষ মুহূর্তগুলি একত্রিত করার চেষ্টা করছেন। যার মধ্যে রয়েছে বিমান ট্র্যাফিক কন্ট্রোলারের সঙ্গে যোগাযোগ এবং যাত্রীবাহী বিমানের উচ্চতা।
Be the first to comment