রাশিয়া, আফগানিস্তান, ইরান ও কাতার হয়ে ফেরার পথে লাহোর পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এই সফরে পাকিস্তানে নরেন্দ্র মোদীর বিমান থামানোর জন্য ভারতকে ২.৮৬ লক্ষ টাকার বিল পাঠালো পাকিস্তান। সম্প্রতি আরটিআই আইনে সামনে এসেছে এই তথ্য। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইচ্ছেতেই ভারতীয় বায়ুসেনা লাহোরে অবতরণ করায় বিমান। এর জন্য ব্যবহার করা হয় রুট নেভিগেশন পরিষেবা। সেই শুল্ক হিসেবেই ভারতকে ২.৮৬ লক্ষ টাকার বিল পাঠিয়েছে পাকিস্তান।
এছাড়াও সামনে আসা তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানে মোট ১১টি দেশে সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইরান, ফিজি, সিঙ্গাপুর, রাশিয়া, কাতার, পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ ও ভুটান।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ২৫ ডিসেম্বর আফগানিস্তান থেকে দিল্লি ফেরার পথে আচমকা লাহোরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অল্প সময়ের জন্য লাহোরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীর বিমান। তাঁকে সপরিবারে স্বাগত জানান পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। এয়ারপোর্ট থেকেই হেলিকপ্টারে নিয়ে যাওয়া হয় পাক প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে, তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে। বিমানের যাত্রাপথ পরিবর্তনের কারণে ভারতকে ১.৪৯ লাখ টাকার বিল পাঠায় পাকিস্তান। তবে এখানেই শেষ নয়, ২০১৬ সালের মে মাসে ইরান যাওয়ার সময় ও জুন মাসে কাতার যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীর বিমান যাত্রাপথ পরিবর্তন করে পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করে। তার জন্য যথাক্রমে ভারতীয় হাই কমিশনকে ৭৭, ২১৫ টাকা ও ৫৯, ২১৫ টাকার বিল ধরায় পাকিস্তান।
জানা গিয়েছে, বায়ুসেনার বিমানে এপর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরে খরচ হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা। এই খরচ বহন করেছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। শুধু বিমান ভাড়া ছাড়াও বিমানবন্দরের ট্যারিফ, অবতরণের পর বিমান খরচ, বিদেশের ভারতীয় দূতাবাসে থাকার খরচ, জ্বালানির খরচ, বিমানবন্দরের ভাড়া, কর্মী, হোটেল কর্মীদের ডিএ, খাওয়াদাওয়া ও আরও আনুষঙ্গিক খরচ এই মোট হিসাবের অন্তর্ভূক্ত।
Be the first to comment