বুধবার দক্ষিন দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে সরকারী পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের সভায় মুখ্যমন্ত্রী কী কী বললেন দেখে নেওয়া যাক-
১. আগে ভাষা শহীদদের জন্য কিছুই ছিলো না। আমাদের সরকার আসার পর এইসব বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে অনেক রক্ত ঝরেছিলো।
২. যার যা মনের ভাষা, যে ভাষা যে ভালোবাসে তাকে আমরা স্বীকৃতি দিই। আমরা সবাইকে সম্মান দিয়েছি। রাজবংশী, কামতাপুরি, কুরমানি, কুরুক, নেপালি ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছি।
৩. ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো হোক, দু’দেশ আরও উন্নতি করুক। আমি আজ এখানে অনুষ্ঠান এজন্যই করলাম কারন এখান থেকে বাংলাদেশকে সম্মান জানানো যাবে। এখান থেকে ভাষা দিবস পালন করে মনে হচ্ছে যেন বাংলাদেশে আছি।
৪. গঙ্গারামপুর স্টেডিয়াম আরও ভালো করে তৈরি করা হবে।
৫. আগামী দিনে এই জেলাতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে দেবো, তবে একটু সময় লাগবে।
৬. এখানে এক আদিবাসী মেয়ের উপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, আমরা চাই সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক, তার মাথার ছাদ দেওয়ার পাশাপাশি তার জাতে কোনও সমস্যা না হয় আমরা সেদিকে নজর দেবো। ইতিমধ্যে নির্যাতিতার পরিবারকে ৪ লক্ষ ১২ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন এই জঘন্য অপরাধ রুখতে মা, বোন, শ্রমিকদের এগিয়ে আস্তে হবে।
৭. বেকারের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রের হাতে কর্মসংস্থান থাকে, থাকে দ্রব্যমূল্যের দামের চাবিকাঠিও। কিন্তু আমাদের সরকার আসার পরে কোথাও কোনও ট্যাক্স বাড়ায়নি।
৮. আমরা যেভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছি এটা গোটা দেশের মডেল হওয়া উচিত। আজ নোটবন্দির জন্য কয়েক লক্ষ মানুষ বেকার হয়ে গেছে।
৯. আমরা প্রতিমাসের ১ তারিখে মাইনে মিটিয়ে দিচ্ছি। তারপরও সিপিএম যদি কোনও কথা বলে খুব খারাপ লাগে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন বাংলায় কংগ্রেসের কিছু নেই। না ঘর কা না ঘাট কা।
১০. আরেকটা বিজেপি দল, যারা দেশকে ক্যাশলেস করতে গিয়ে ব্যাঙ্কগুলোকে ক্যাশলেস করে দিয়েছে।
১১. দিল্লিকে বলি তাকিয়ে দেখো। কাজ করতে জানতে হয়, আগেও তো দেখেছেন কতজন এখানে এসেছে।
১২. ছোটো বলে কোনও কাজ ছেড়ে দেবেন না, কাজটা ভালো করে দেখে নেবেন।
১৩. জনগণকে খারাপ চাল দেবেন না। যে মিল মালিকরা আছেন তাদের বলছি। বিডিও, আই.সিকে বলেছি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে।
১৪. আজ দিল্লি বলেছে কৃষকদের রোজগার বাড়াবে। কিন্তু কোনও প্ল্যানিং নেই। কেউ কেউ হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করলেও কিছু হয় না। যারা মানুষের টাকা লুঠ করে নিয়ে যায় তাদের কেউ কিছু বলে না। কোটিপতিরা টাকা না দিলে তাদের কিছু বলতে পারে না।
এদিন সরকারি জনসভা শেষ করার পরে মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছে যান উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। সেখানে উত্তর ও দক্ষিন দিনাজপুর এই দুই জেলা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Be the first to comment