শিশু সাহিত্যে একাডেমি পুরস্কার পেলেন পান্ডব গোয়েন্দা খ্যাত ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়
বাংলার মুকুটে আরেকটি উজ্জ্বল পালক যোগ হলো। শিশু সাহিত্যে একাডেমি পুরস্কার পেলেন পান্ডব গোয়েন্দা খ্যাত স্বনামধন্য লেখক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়। রোজদিনের তরফ থেকে ওনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ।
সেই লোকটা
নিবেদিতা ঘোষ মার্জিতঃ
বন বন করে ঘোরা নাগরদোলা থেকে চোখ নামিয়ে আপাং বুঝতে পারে সে হারিয়ে গ্যাছে। মা পাশে নেই। চারপাশের মানুষের মুখের দিকে তাকাল। চেনা কেউ নেই।মা গ্যাল কথায়?তেঁতুল গাছটায় ওঠে আপাং..বিস্তারিত
অন্যপ্রেম
মৌ দাশগুপ্তঃ
পার্বতীয়া জাতে মেথর। সারাদিন এর তার ঘরের ময়লা পরিস্কারেই সময় যায়। সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে স্নান করাটা ওর বেশ দামী বিলাসিতা। মাথায় ফুলের গন্ধওয়ালা তেল, সুগন্ধি সাবান।স্নানের পর পরিস্কার কাঁচা একটি শাড়ি।..বিস্তারিত
দোসর
সহেলী রায়
মেহুলীর রোববারটা একেবারেই বিছানা ছাড়তে চাই না। সপ্তাহের এই একটা দিন সারা সপ্তাহের ধকলের একটি বিশ্রাম দিবস হিসেবে রেখেছে সে। কিন্তু সকাল থেকে বন্দনার খুট খাট শব্দে ঘুম যেন চোখ ছুঁয়ে আবার তছনছ হয়ে ভেঙে যায়। চোখ বন্ধ করে ঘুমের বন্দনা করতে থাকলেও কিছুতেই বাগে আনতে পারে না।..বিস্তারিত
খোঁজ
সপ্তাশ্ব ভৌমিকঃ
দু’দিকে দুই ভিন্ন স্রোতের নদী
প্রতিধ্বনি নদীর বাঁকে বাঁকে
শব্দ আমি তোমার কাছে ঋণী
নদীর জলে খুঁজি নিজের মাকে ।
সেই মেয়েটি
রাজকুমার ঘোষঃ
স্কুল থেকে প্রতিদিন ফেরার পথে নিজের অজান্তেই সাইকেল নিয়ে চলে যেতাম ভানুমতী বালিকা বিদ্যালয়ের কাছে। কোনো দিন তাকে দেখতে পেতাম আবার কোনোদিন পেতাম না । যেদিন পেতাম আনন্দে চলে আসতাম আমার বন্ধু শুভ-র কাছে । বেশ উৎফুল্ল হয়ে ওকে আমার মনের কথা বলতাম, আর বলতাম সেই মেয়েটার কথা..বিস্তারিত
একটু ডিমের ঝাল
চিত্রলেখা দেঃ
জগার পরণে একটা রংচটা হাফপ্যান্ট আর গায়ে বেঢপ সাইজের একটা গেঞ্জী। কোন কাজের বাড়ি থেকে মা এটা চেয়ে এনেছিল কে জানে?? যদিও গায়ে গেঞ্জীটা বড় হয়েছিল বলে জগা পরতে অস্বীকার করেছিল,কিন্তু মা বলল,গরীবঘরে নাকি জামার মাপ বলে কিছু হয়না!!..বিস্তারিত
পথিক
গৌতম চট্টোপাধ্যায়ঃ
পশ্চিমের বটগাছের আড়ালে ছায়াটা ক্রমশ বড় হচ্ছে;
কোন এক অজানা মুখবন্ধ লেখার মাঝেই,
আমার দৃষ্টি যাচ্ছে সেইদিকেই বারবার।
যেন সে আমায় ডাকছে, ঘিরে ধরবে বলে,
ডাকছে, একবার পরখ করবে বলে,
ডাকছে, হয়তো জড়িয়ে ধরে ভরিয়ে দেবে আদরে।..বিস্তারিত
একা
মৌলিনা মিত্রঃ
বিবর্ণ সন্ধ্যা, ভীষণ একা,
আবছা মোমবাতির আলোয় পুরানোকে ফিরে দেখা …
বাইরে বৃষ্টি আর ঘরে অন্ধকার,
টেবিলে একটা পেন আর কিছু স্মৃতি ‘তার’ …
স্কুল থেকে ফিরেই খেলতে যাবার সুখ,..বিস্তারিত
পাগলী
মৌ দাশগুপ্তাঃ
গাছতলায় একা বসে থেকে থেকে এ শহরে অবশেষে
পাগলী নেমে এসেছে প্রিয় কবির কবিতা হয়ে ,
সেখানে চোরকাঁটা পুরুষের লোভী পরশ
গনগনে আঁচ হয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে
ছোটোদের, বড়োদের, সবাইদের জগৎ—সুকুমার রায়
তপন মল্লিক চৌধুরী : জীবনটা তো মাত্র ছত্রিশ বছরের—৩০ অক্টোবর ১৮৮৭ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর ১৯২৩। সময়টা তো গুছিয়ে বসার মতো একেবারেই নয়। যা করার তারই মধ্যে করে ফেললেন। আরে! করে ফেললেন মানে কি?..বিস্তারিত
এবারে ২০ শে বিষ
পবিত্র চক্রবর্তীঃ
১
কয়েকদিন একনাগাড়ে বৃষ্টির পর আজ ১৯ তারিখ একদম ঝকঝকে নীল আকাশ । মাঝে পরীক্ষা থাকার জন্য টুটুন আর বেরোতেই পারে নি মামার সাথে । “ থিম্পু গুহা রহস্য”-এর পর মা আর বেঁকে বসেন নি , তাই এবার দ্বিতীয়বার মামার সাথে সোজা হ্যাভলকে ।..বিস্তারিত
সুকুমার রায়
আর্যতীর্থঃ
আজকে আবার পড়তে বোসো আবোলতাবোল
পাগলা দাশু নতুন করে পড়ুক মনে,
জীবনগাড়ি হুড়মুড়িয়ে সামনে ভাগে
আজকে থামাও মনকেমনের ইস্টিশনে।..বিস্তারিত
পরী
পায়েল ব্যানার্জীঃ
পরী ,পরী করে সমানে অস্থির হয় মা।হবে নাইবা কেন মালতির একমাত্র মেয়ে হলো পরী।অনেক সাধ করে নাম রেখেছিল পরী।পরী তখনও জন্মায়নি ,মালতি অন্তঃসত্ত্বা,হটাৎ খবর এলো পরীর বাবাকে হাসপাতালে দেওয়া হয়েছে।খবরটা শুনেই দৌড়ে গেছিলো মালতি।কিন্তু,গিয়েও লাভ হয়নি শেষবারের মতো আর দেখতে পায়নি তাকে।..বিস্তারিত
টর্চার
সপ্তাশ্ব ভৌমিকঃ
কৃশানু আমার বন্ধু। ঠিক বন্ধু না বলে আমাকে ওর ফ্যান বলাই ভালো। এমন মেধাবী ছেলে জীবনে দেখেনি। যেমন মেধা তেমন সাহস। শরীরেও অসুরের শক্তি। স্বভাবে কিছুটা বোহেমিয়ান। ক্লাস ইলেভেন থেকেই মদ আর গাঁজার সঙ্গে বন্ধুত্ব..বিস্তারিত
ছেলেধরা
নির্মলেন্দু কুণ্ডুঃ
হঠাৎ হইচইটা কানে আসতেই দোকান ছেড়ে বেরিয়ে আসে তপন৷এমনিতে অঞ্চলটা নিরিবিলি ও শান্ত হলেও এই স্কুল টাইমটায় একটু ভিড় হয়৷একটা প্রাইমারি স্কুল আছে গলির ভিতর দিকে৷ওখানেই কচি-কাঁচাদের নিয়ে আসেন দুয়েকজন অভিভাবক৷..বিস্তারিত
প্রেসক্রিপশন
রাজকুমার ঘোষঃ
“যতখানি আমার করার করেছি, বাকিটা ঈশ্বর” । – বললেন ডাক্তারবাবু
কেষ্ট এই কথা শোনার পর আঁতকে উঠল । ভাবল, তার কি এমন হয়েছে ! সামান্য একটু পেট ব্যথা আর বুকে ব্যথা, তাতেই ডাক্তারবাবুর সাবধান বাণী…! ও বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ল । ও ডাক্তারবাবুর কাছে কারণ জানতে চাইল ।..বিস্তারিত
পটলচোরা
অনুপ বৈরাগীঃ
১
গ্রামের নাম ভবানিপুর। ভাদ্র আশ্বিন মাস পটল তোলার সময়। যদিও বাড়ির মেয়েদের আপত্তিতে পারিবারিক অভিধানে ‘তোলা’ কেটে ‘ভাঙা’ করা হয়েছে। তো এই পটল চাষের সময় প্রতিদিন সকালে কর্তারা মাঠে গিয়ে পুরুষ ফুল নিয়ে স্ত্রী ফুলে ছুঁইয়ে আসেন তাতে নাকি ফলন ভাল হয়।..বিস্তারিত
যুদ্ধ
মৃগাঙ্ক চক্রবর্তীঃ
সে অনেককাল আগের কথা। দুই রাজ্যে দুই রাজা ছিল। অমুক রাজ্যের রাজার নাম হবুচন্দ্র আর তমুক রাজ্যের রাজার নাম গবুচন্দ্র। দুজনেই বাহুবলে-সৈন্যবলে-রণনীতিতে-কৌশলে সমান পারদর্শী। রাজা মানেই তো সাম্রাজ্যের লোভ। হবুচন্দ্রের নজর তমুক রাজ্যের ওপর, আর গবুচন্দ্র চায় অমুক রাজ্যের দখল করতে।..বিস্তারিত
পাঁচটি খুনের গল্প
আর্যতীর্থঃ
( ১)
কিছু গাছ খুন হলো দিনেদুপুরে। চোখের সামনে ।
বিভৎস করাতের দাঁত, ছিঁড়েখুঁড়ে নিয়ে গেল ডাল সহ পাতা।
শিকড় যেটুকু ছিলো, খুঁচিয়ে মারলো তাকে প্রবল শাবল।
আমরা নিরুত্তাপ, দুয়েকটা আহা ইস পাড়াতুতো খুনের গল্পে।
শক্তি
পায়েল ব্যানার্জীঃ
দীর্ঘ দু ঘন্টা হয়ে গেল পার্লারে বসে আছে পাখি।নামী-দামী পার্লার বলে কথা সেখানে যাওয়া মানেই আগে থেকে এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে তারপর যাওয়া,গিয়েও বসে আছে ঘন্টা দুই হয়ে গেল।সামনের আয়নাটা কেমন ঝাপসা লাগছে, নিজের মুখটা ভালো করে দেখতে পাচ্ছেনা পাখি।একবার বই পড়ছে একবার মোবাইল ঘাটাঘাটি করছে,এতেই সময় যাচ্ছে।..বিস্তারিত
“পত্র্যকাব্য”
জীবনানন্দ দাশ সমীপেষু ,
আপনাকে চিঠি লিখি, উত্তর না পেয়ে আবার লিখতে বসি , অনেকদিন আর বনলতা সেনের সঙ্গে দেখা হয়না, আমি ওনার জন্য পায়রার ঝরা পালক রেখে দিয়েছি জার্নালের মাঝের পাতায়।..বিস্তারিত
রং বেরং
মৌ দাশগুপ্তঃ
নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে।বিজয়ী প্রার্থীর বিজয়মিছিল বেরিয়েছে। মিছিলের সবাই দলের প্রতীকি রং নিয়ে হুল্লোড়ে মেতেছে।আজ আর দলমত কোনকোন বাছ বিচার নেই, স্ত্রী পুরুষ বাচ্চা বুড়ো পথ চলতি সবাইকে আবির ছুঁড়ছে ওরা। আবির উড়ছে হাওয়ার।রাস্তার কালো পিচ, গাছের সবুজ পাতা, সবজেটে ঘাস ,ঘোষদাদুর বাড়ির লাল সিমেন্ট বাঁধানো রোয়াক।…বিস্তারিত
অন্য সকাল
আজ সকাল থেকে সুব্রত উসখুস করতে থাকে, একবার হাত ঘড়ি একবার দেওয়াল ঘড়ি দেখছে । রান্নাঘর থেকে যাতায়াতের পথে ইন্দ্রানী অনেকবার লক্ষ্য করেছে সুব্রতর চঞ্চলতা, জানে জিজ্ঞেস করে লাভ নেই । বিয়ে হওয়ার পর থেকে চারবছর এই এক জিনিষ দেখে আসছে, আজকের দিনে সুব্রত যেন একটা অন্য মানুষ হয়ে পড়ে । তাই এবারে সে ঠিক করেছে না প্রশ্ন নয় অনুসরন করতে হবে সুব্রতকে ।…বিস্তারিত
ইসমাইল মোল্লা:
চন্দন ছুঁয়েছে কপাল
যমের দুয়ারে কাঁটা দিয়েছ তুমি
ধান দুর্বার কাছে করেছ আজন্ম ঋনী ।
শুভ্র কোমল বোনটি আমার
বলো কি উপহার সাজিয়ে দেব তোমার ছোট্ট হাতে ?…বিস্তারিত
ভাইফোঁটা
ইন্দ্ররঙ মহোৎসব শুরু হবে ৫ নভেম্বর
জাতীয় নাট্যোৎসব পাইকপাড়া ‘ইন্দ্ররঙ মহোৎসব’ শুরু হচ্ছে আগামী ৫ নভেম্বর ২০১৭। ওইদিন উদ্বোধন করা হবে এই নাট্যোৎসব। একাডেমি ফাইন আর্টস প্রেক্ষাগৃহে হবে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।নাট্যোৎসব শেষ হবে আগামী ১২ নভেম্বর।…বিস্তারিত
আর্যতীর্থঃ
আসবি তো ভাই এবার ফোঁটায় আমার শ্বশুরঘরে?
লক্ষ্মীপুজোর পর থেকে মন কেমন কেমন করে।
জানি রে তুই সেনার জওয়ান, বড়াইটা তোর রাখ
দিদির কাছে নাক খোঁটা সেই পুঁচকে হয়েই থাক।…বিস্তারিত
ভাইফোঁটা
ভালোবাসার রিংটোন
চিত্রলেখা দেঃ
দিদি, আমার আইডিয়া ফোনটা রিচার্জ করে দাও।
দিদি,,এখানে ভোডাফোনের আধার কার্ড লিঙ্ক করা হয় তো?
ও মেয়ে আমার ফোনে একটু পয়সা ভরে দাও তো।…বিস্তারিত
নেপোদাদুর গপ্পো
রাজকুমার ঘোষ:
অনেক বিচিত্র লোকের সমাহারে এই আজব দুনিয়া। এই আজব দুনিয়ায় এক আজব পাবলিকের নাম নেপালচন্দ্র সর্দার। তাকে নিয়ে বলতে গেলে অনেক গপ্পের সৃষ্টি হয়, সেই গপ্পের যে কত পাতা হবে তা আন্দাজ করা মুশকিল। নেপোদাদু থুরি নেপালচন্দ্র সর্দারের মতো বিচিত্র মানুষ ও তার কান্ডকর্মের জন্য অনেক মানুষ তাকে অনেক নাম দিয়েছিল। তারই মধ্যে একটা নেপো, আমারা সবাই তাকে আদর করে নেপোদাদু বলি।…বিস্তারিত
অন্য দীপাবলি
আর্যতীর্থঃ
কোনো কোনো ঘরে আজ আলো জ্বলবে না।
দেওয়ালির উত্তাপে বিষাদের হিম গলবে না।
ঘরের প্রদীপ গেছে অনন্ত নির্বাসনে চলে,
ফটো জোড়া হাসিমুখ, বিষণ্ণ জুঁইমালা দোলে।…বিস্তারিত
বাঙালি-অবাঙালির ভেদাভেদহীন ধনতেরাস আজ সার্বজনীন
তপন মল্লিক চৌধুরী : ধন-সম্পত্তিতে সমৃদ্ধ রাজা হিমের মনে শান্তি নেই। থাকবেই বা কী করে? রাজ-জ্যোতিষীরা যদি একমাত্র পুত্রর কোষ্ঠী বিচার করে এমন একটা আশঙ্কার কথা জানায় তাহলে কি কোনও পিতার মনে শান্তি থাকতে পারে, না কি তিনি নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারেন? মাত্র ষোলো বছর বয়েসেই হিম-পুত্র-র কোষ্ঠী বিচারে দেখা গেল, বিয়ের চতুর্থ রাতে তাঁর সাপের কামড়ে মৃত্যু হবে। নিস্তার পাওয়ার জন্য যা যা খোঁজখবর নেওয়ার তাতে রাজা হিম কোনও খামতি রাখেননি। কিন্তু কোনও উপায়ই মেলেনি। এদিকে প্রাপ্তবয়স্ক ছেলের বিয়ে তো দিতেই হবে। একদিন সেসবও ঠিকঠাক হয়ে গেল।
পঞ্চব্যঞ্জন
অনুপ বৈরাগীঃ
১
স্বামী আর (ই)স্ত্রী দুজনেই চাকুরে হলে ইকোনমিক সিকিউরিটির দিক দিয়ে দু’পক্ষের ছ’পোয়া করে টোটাল পোয়া বারো। সহজ সমীকরণে প্রফেশনাল হ্যাজার্ডের সুখদুখের ভাগীদার দুজনে হওয়া যাবে এই আনন্দে প্রেমটা বেশ গদ গদ হয়।তারপর যখন ডাক্তার সিস্টার বা ডিফেন্স ডিপার্টমেন্টাল চাকরির কোনএকটা নিয়তির সকৌতুকে জুটে যায়! অঙ্কের পোয়াবারো কখন পোয়াজিরো হয়ে যায় সে খেয়াল অধম আর অধমা অল্পদিনের মধ্যেই টের পায়। ধুর ধুর ! এরথেকে দশটা চারটের ডিউটি ঢের ভালো।…বিস্তারিত
ম্যাও আর মিনি
মৃগাঙ্ক চক্রবর্তীঃ
সকালে বাজার থেকে ফিরে কাগজ নিয়ে বসলাম। চিঠি লিখতে হবে একটা। আজকাল মেইল আর হোয়াটস অ্যাপের যুগে চিঠি জিনিসটা প্রায় ব্রাত্যই হয়ে গেছে। লেখালিখির অভ্যাসটাও অনেকদিন থেকে নেই। ছোটো বেলায় কিছু লেখার একটা গতি হয়েছিলো ঠিকই, কিন্তু তারপর পড়ার চাপ আর চাকরী খুঁজতে গিয়ে সুখতলি খুইয়ে লেখার অভ্যাসটা কোথায় জানি মরে গেলো। কিন্তু আজ হঠাৎ লিখতে ইচ্ছে করছে খুব- এতদিনের সব কথা মন খুলে লিখতে হবে।।…বিস্তারিত
ভবানীর শেষ তলোয়ার
পবিত্র চক্রবর্তীঃ
১
ইতিমধ্যে দু-দুটো অভিযান চালিয়ে মামার থেকেও টুটুন কলেজ মহলে বেশ নামডাক করে ফেলেছে । মামা পূর্বের মতই ভাবলেশ । বললেই একটাই পুরনো কথা “ কাকতলীয় ।” তা সে যাইহোক টুটুন মহাখুশী । সেদিনই মামা ফিরেছেন রাঁচি থেকে টুটুনদের বর্ধমানের বাড়ী ।…বিস্তারিত
ব্রেকিং নিউজ
নির্মলেন্দু কুণ্ডুঃ
পায়ে পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে আসিফ৷ওদের মধ্যে আর হাত বিশেক তফাত৷ওর সামনে রাজীব খান্ডেওয়াল,দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী৷অল্পবয়সী,শিক্ষিত, মন্ত্রীকুলে প্রহ্লাদ বলা হয় তাঁকে৷রীতিমতো দরদ দিয়ে কাজটা করেন৷প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে ইতিমধ্যেই নাম কামিয়েছেন৷প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক জুড়তে চায় দেশ৷কিন্তু তাতে বাগড়া দিচ্ছে …বিস্তারিত
ভগ্নাংশ
চন্দ্রাবলী ব্যানার্জীঃ
খুব ক্লান্ত লাগছে নীরাকে, আজ সাড়ে চারটে তেই বাড়ি ফিরে এলো । ফ্যান এর স্পিডটা বাড়িয়ে, ব্যাগ টা বিছানার একপাশে ছুড়ে ফেলে দিয়ে ধপাস করে বিছানার উপর বসে পড়লো । কপালের চূর্ণ চুল গুলো ঘামে আটকে আছে কপালে । আঁচল দিয়ে কপালটা মুছে নিয়ে, উঠে গিয়ে ড্রেসিংটেবিলের আয়নাতে অনেক্ষন ধরে নিজেকে দেখলো । সত্যি কি সে আগের মতই দেখতে আছে ? …বিস্তারিত
আসল দুর্গা মা
রাজকুমার ঘোষ :
মিত্তির বাড়ির ঐতিহ্য আজ হয়তো সেভাবে নেই। সময়ের প্রবাহে এই আধুনিক জগতের ঘনঘটায় আজ শুধু মিত্তির বাড়ি হয়েই ঠেকেছে। গ্রামের শেষ ও শহরের শুরু এমন সহাবস্থানেই মিত্তির বাড়ির ভিত গড়েছিলেন কয়েক পুরুষ আগের জমিদার রাজনারায়ণ মিত্তির, তার দাপট ছিল বেশ। …বিস্তারিত
দিওয়ানা
রাজকুমার ঘোষ :
অজয়ের বাড়ির কাছেই স্বপ্নার বাড়ি, অথচ পরিচয় নেই, খুব কথা বলতে ইচ্ছা করলেও সাহস করে এগোতে পারে না। রাস্তার ধারে স্বপ্নার বাড়ির পাশ দিয়ে যাবার সময় অজয় প্রতিদিন স্বপ্নাকে দেখার চেষ্টা করে, দেখতেও পায় কিন্তু স্বপ্না ওর দিকে ঘুরেও তাকায় না। একদিন কোচিং সেন্টারে অজয় স্বপ্নাকে দেখে হকচকিয়ে যায়। সেদিনই প্রথম আলাপ এবং ওর নাম যে স্বপ্না সেটাও জানতে পারে। এরপর অজয়ের দিনগুলো দারুণ কাটতে লাগলো, যাকে দেখার জন্য ও এত উদগ্রীব, সে ওর বন্ধু।…বিস্তারিত
মাস্টারমশাই
রাজকুমার ঘোষ:
“ছোট্ট ছেলে দুষ্টুমি করবেই, ওগোঃ তুমি ওকে আশ্রমে কেন দিচ্ছ ?” মায়ের কোন কথাই বাবা শোনেননি । সাল ১৯৮৭, বাবা আমাকে উলুবেড়িয়ার একটি আশ্রমে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন । … বিস্তারিত