‘চাঙ্গা’ আছেন এবং ২০১৯ পর্যন্ত ‘চাঙ্গা’ থাকবেন, হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর জানালেন অনুব্রত মণ্ডল

Spread the love
সোশ্যাল মিডিয়ার গুজবকে উড়িয়ে দিলেন তিনি। এক দিন হাসপাতালে থাকার পর বাড়ি ফিরলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। জানিয়ে দিলেন ‘চাঙ্গা’ আছেন। এবং ২০১৯ পর্যন্ত ‘চাঙ্গা’ থাকবেন।
ভারী চেহারার এই রাজনীতিকের শারীরিক সমস্যা রয়েছে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার বলেছিলেন, “কেষ্টর মাথায় অক্সিজেন কম যায়।” কিন্তু সেসবে থোড়াই কেয়ার করেন অনুব্রত। ‘মেজাজটাই তো আসল রাজা।’ আর সেই মেজাজেই রাজনীতিতে রঙিন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু শুক্রবার বীরভূম জেলা সভাপতির হাসপাতালে ভর্তির খবরে রং চড়িয়ে অন্য গুজব রটে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ লেখেন, “অনুব্রত মণ্ডলের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।” এই গুজবের কথা তাঁরও অজানা নয়। কিন্তু একরাত এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে কাটিয়ে বীরভূম ফিরে গেলেন অনুব্রত।
[রাজনীতির চর্চা করা লোকজন আবার নেতা-নেত্রীদের অসুস্থতা নিয়ে অন্য কথা বলেন। তাঁদের মতে, রাজনীতিকরা নিজেদের শরীর খারাপের কথা নিয়ে একেবারেই হাটে হাঁড়ি ভাঙতে চান না। বরং তাঁরা এ ক্ষেত্রে গোপনীয়তা রক্ষা করতেই পছন্দ করেন। বেড়াতে যাচ্ছি বলে চলে যান ভিন রাজ্যের হাসপাতালে ভর্তি হতে। কিন্তু শরীর খারাপ হলে সেটা না বলার মধ্যে কী রাজনীতি আছে?
পর্যবেক্ষকদের মতে, শরীর খারাপ হলে হয়তো সমবেদনা মেলে কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয় না। এখন যদি কেউ শোনে বীরভূমের দাপুটে সন্তান অনুব্রত মণ্ডল অসুস্থ, তাহলে নানান কানাঘুষো শুরু হয়ে যাবে। নড়ে যেতে পারে নিজের জায়গাও। নিজেদের কর্মীবাহিনীর আত্মবিশ্বাসের গ্রাফ যেমন নীচের দিকে নামবে তেমনই ওই জায়গায় আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেবে বিরোধী পক্ষ। সামনের বছর লোকসভা ভোট। দুঁদে এই রাজনীতিক সব ভেবেই নিজের চাঙ্গা থাকার কথা জোরের সঙ্গে বলেছেন বলে মনে করছেন তাঁরা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*