কেরলে যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ হতে লাগবে কয়েক বছর

Spread the love

৮ অগাস্ট থেকে কেরলে শুরু হয়েছে বন্যা। জল নামতে শুরু করেছে ২০-২১ তারিখ নাগাদ। এইটুকু সময়ের মধ্যে যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ হতে লাগবে কয়েক বছর। কয়েকটি এলাকায় মানুষ ত্রাণ শিবির থেকে বাড়ি ফিরছেন। কিন্তু জীবন আগের ছন্দে ফিরতে এখনও অনেক সময় লাগবে।

বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চারটি জেলা। ইদ্দুকি, মালাপ্পুরম, কোট্টায়াম এবং এর্নাকুলাম। আপাতত যে হিসাব করা হয়েছে, তাতে দেখা যায়, ক্ষতি হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। ভেঙে পড়েছে ১ লক্ষ বাড়ি। ১০ হাজার কিলোমিটার রাস্তা বিধ্বস্ত। বহু সেতু ভেসে গিয়েছে। লক্ষ লক্ষ একর জমির ফসল পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। ১০ লক্ষ মানুষ রয়েছেন ত্রাণ শিবিরে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির পর কেরলকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে লাগতে পারে কয়েক বছর। আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশ ত্রিপাঠি ভারতে বন্যা ও পুনর্বাসন নিয়ে গবেষণাপত্র জমা দিয়েছিলেন ২০১৫ সালে। তিনি বলেছেন, ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ শেষ হতে সাধারণত দুবছর লাগে। কিন্তু বন্যায় পরিবেশের যে ক্ষতি হয় তা পূরণ হতে লাগে পাঁচ বছর।
দক্ষিণ এশিয়ার নদীবাঁধ নিয়ে গবেষণা করেছিলেন হিমাংশু ঠক্কর। তিনি বলেছেন, বন্যার পরে প্রধান কাজ থাকে দুটি। প্রথমত দুর্গত মানুষের ত্রাণের ব্যবস্থা করা। দ্বিতীয়ত কেন বন্যা হয়েছে খতিয়ে দেখে তার পুনরাবৃত্তি বন্ধের ব্যবস্থা করা। অবশ্য বন্যা একেবারে বন্ধ করা সম্ভব নয়। কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি যাতে কম হয় তার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কতদিনে সেই ব্যবস্থা করা যাবে বলা মুশকিল। কাশ্মীরে চার বছর আগে বন্যা হয়েছিল। এখনও পুনর্গঠনের কাজ শেষ হয়নি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*