একজোড়া জুতোই ধরিয়ে দিল অপরাধীকে। ২৫ অগাস্ট বাঁকুড়ার সিমলাপাল শিশুকন্যা খুনের রহস্যভেদ করল পুলিশ। দাম্পত্য কলহের মাসুল প্রাণ দিয়ে দিতে হল এক বছরের শিশুকে।
হল না শেষরক্ষা। একজোড়া জুতোই ছিল এই অপরাধের সেটাই ছিল সূত্র। অপক্ক হাতে নিজের শিশুকন্যার গলা টিপে খুন। পরে নদীতে দেহ ভাসিয়ে দিয়েও পুলিশের জালে খুনি মা তাপসী চট্টোপাধ্যায়। শিশুকন্যা খুনে প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেফতার বাবা সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ও।
২৫ অগাস্ট বাঁকুড়ার শীলাবতী নদী থেকে উদ্ধার হয় একবছরের শিশুর দেহ। নদীর পাশেই পড়ে ছিল শিশুর মায়ের জুতো। জেরার মুখে ভেঙে পড়ে মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার মায়ের। ৬ দিন পরে বাঁকুড়ার সিমলাপালের শিশুকন্যা খুনের রহস্যভেদ।
কিন্তু কী এমন কারণে খুন করতে হল ছোট্ট শিশুকে?
-দীর্ঘদিন ধরেই শিশুটিকে নিয়ে সংসারে অশান্তি -তাপসীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কেই জন্ম শিশুর, স্ত্রীকে সন্দেহ করত সঞ্জীব -এই নিয়েই তাপসী ও সঞ্জীবের মধ্যে নিত্যদিন ঝগড়া -তার পরেই মেয়েকে খুনের পরিকল্পনা মায়ের
তবে তাপসীর অভিযোগ অস্বীকার শিশুর বাবার। তদন্ত করলে সঠিক কারণ বেরিয়ে আসবে, দাবি ধৃত সঞ্জীবের।
শিশুকন্যা হত্যায় ধৃত বাবা-মাকে খাতড়া মহকুমা আদালতে তুলেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে দাম্পত্য কলহ মনে করলেও খুনের পিছনে অন্য আর কোনও কারণ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Be the first to comment