যেমন কথা তেমন কাজ, শনিবার ভোর রাত থেকেই জাতীয় সড়কে শুরু হয়েছে যান নিয়ন্ত্রণ

Spread the love
মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পর কলকাতার চারটি সেতুতে পণ্যবাহী যান চলাচল নিষিদ্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে গোটা রাজ্যে নিষিদ্ধ হয়েছে কুড়ি চাকার পণ্যবাহী ভারী গাড়ি চলাচল।
রাজ্য সরকারের নির্দেশিকার পরই  বাঁকুড়ায় পৌঁছে বিপাকে পড়েছেন ভিন রাজ্য থেকে আসা বেশ কয়েক’শ লরি চালক। বিষ্ণুপুর শহরে ঢোকার মুখে বিষ্ণুপুর-মেদিনীপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর একের পর এক দাঁড়িয়ে পড়েছে পণ্য পরিবাহী লরি গুলি। এই রাস্তার উপর বেশ কয়েকটি সেতু থাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে  ‘নো এন্ট্রি’ ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। তার জেরেই এই বিপত্তি।
রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়ানোর ফলে ব্যবসা প্রায় লাটে উঠতে চলেছে বলে জানালেন এক লরি চালক অমিয় রঞ্জন। শনিবার বিষ্ণুপুর উজালা মোড়ের কাছে পেঁয়াজের লরি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। বললেন, ‘‘অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে পেঁয়াজ নিয়ে আসছি। গতকাল রাত থেকে এখানে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। পুলিশকে কিছু জিজ্ঞাসা করলেও বলতে চাইছে না।’’
কাছাকাছি কোনও দোকান না থাকায় রাত থেকে লরি চালকেরা সবাই প্রায় অভুক্ত। আরও কয়েক ঘণ্টা এই ভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে পেঁয়াজ পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানালেন তিনি। একই অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন জাহের খান ও জহিরুল ইসলামও।
শুক্রবার রাত থাকতেই দু’নম্বর জাতীয় সড়কে আটকে দেওয়া হয়েছে সব পণ্যবাহী গাড়ি। দশ চাকা, কুড়ি চাকা লরি তো বটেই আটকে দেওয়া হয়েছে যে কোনও পণ্যবাহী ট্রাকই। রাত থেকেই আটকে রয়েছেন ড্রাইভার, খালাসীরা। খাবার এবং পানীয় জলের যোগান নেই। তার উপর শনিবার ভোর রাত থেকেই জাতীয় সড়কে শুরু হয়ে গিয়েছে যান নিয়ন্ত্রণ।
পূর্ব বর্ধমানের পালসিটের কাছে আটকে রয়েছে সারি সারি পণ্যবাহী ট্রাক। চালকেরা জানিয়েছে তাঁদের ট্রাকে সব্জি-সহ নানা জিনিস রয়েছে। সেগুলি পচে যাওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*