মুজফফরপুরের পর এ বার কাঠুয়া। অনাথ আশ্রম বা শিশুদের হোমে যৌন নির্যাতনের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। শনিবার জম্মু কাশ্মীরের কাঠুয়ার এক অনাথ আশ্রমে হানা দিয়ে ১৯ জন শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় এক ধর্মযাজককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বেশ কিছু শিশুর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে আটজন মেয়ে সহ মোট ১৯ জনকে উদ্ধার করে। তারা অভিযোগ জানায় সেই অনাথ আশ্রমে যে ধর্মযাজক রয়েছেন তিনি তাদের ওপর নির্যাতন করেন। অভিযুক্ত ধর্মযাজক অ্যান্টনি থমাসের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন তিনি।
প্রশাসন সুত্রে খবর, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মুর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা এই ১৯ জন শিশুর প্রত্যেকেরই বয়স ৫ থেকে ১৬র মধ্যে। এই মুহূর্তে তাদের সরকার পরিচালিত একটি বাল-আশ্রম এবং নারী নিকেতনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
কাঠুয়ার সিনিয়র পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট শ্রীধর পাতিল জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে এই উদ্ধারকাজ চালানো হয় এবং তদন্ত চলছে। তিনি আরও বলেন, এই অনাথ আশ্রমটি দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। আগে এর সাথে একটি সমাজসেবী সংস্থার সম্পর্ক ছিল কিন্তু বেশ কয়েকদিন আগে তার সাথে এই অনাথ আশ্রমটির সম্পর্ক ছিন্ন হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, অনাথ আশ্রমটি থেকে বেশ কিছু সামগ্রী আটক করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া শিশুদের চিকিৎসা ও কাউন্সিলিং এর জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। ধর্মযাজকের স্ত্রী কেরলের বন্যা পরিস্থিতি ঘুরে দেখতে গিয়েছেন। তিনি কয়েকদিনের মধ্যেই ফিরবেন বলে জানা গিয়েছে।
কাঠুয়া শাখার সহ-কমিশনার জিতেন্দ্র মিশ্র জানান, ওই শিশুদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, থমাস পুলিশি হানার সময় কোনো বৈধ নথিপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। এই অনাথ আশ্রম চালানোর পেছনে তাঁর কি উদ্দেশ্য ছিল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এদিকে রাষ্ট্রীয় বজরঙ্গ দল এদিন জম্মু প্রেস ক্লাবের বাইরে প্রতিবাদ করে। অভিযুক্ত থমাসের কঠোর শাস্তির দাবি জানায় তারা।
Be the first to comment