মিশরের ৭৫ জনকে মৃত্যুদন্ডের সাজা শোনালো কায়রোর আদালত, কেন জানেন?

Spread the love
মিশরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মোরসির উৎখাতের প্রতিবাদে ২০১৩ সালের ১৪ অগস্ট কায়রো শহরের রাব্বা-অল-আদাইয়া শহরে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রায় ৭৩৯ জন সদস্য। এঁদের মধ্যে ৭৫ জনকে শনিবার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল কায়রোর একটি আদালত। সেই সঙ্গে মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষ নেতা মহম্মদ বাদেই-সহ ৪৬ জনকে দেওয়া হল যাবজ্জীবনের সাজা।
ঘটনার পরই ধীক্কার শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্বের নানা মানবাধিকার সংগঠনগুলি। সাজা প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন মিশরের বেশ কয়েকজন মুসলিম ধর্মীয় নেতা এবং চিত্র সাংবাদিকও।
২০১২ সালে দেশব্যাপী গণ আন্দোলনের পর মিশরের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে গিয়েছিলেন হোসনি মুবারক। সেই আন্দোলনকে নেতৃত্ব দিয়েছিল মুসলিম ব্রাদারহুড। তারই ফলে, ক্ষমতায় এসেছিলেন মিশরের সর্বপ্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মোরসি। কিন্তু এক বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারেননি মোরসি। মোরসিকে সরিয়ে ২০১৩ সালে সেই জায়গা নিয়ে নেন আবেদল ফাতাহ আল সিসি। তারই প্রতিবাদে শুরু হয় গণ আন্দোলন।
অসংখ্য মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয় রাব্বা-আল-আদাইয়া শহরে। সরকারি কোনও হিসেব পাওয়া না গেলেও মানবাধিকার সংগঠনগুলির অভিযোগ, অন্তত ৮১৭ জনকে গুলি করে মেরেছিল মিশর সেনা। অসংখ্য মানুষকে জেলেও ভরেছিল ‘সিসি’ সরকার।
ধৃত ৩৭৪ জনের প্রত্যেকেই মোরসি সমর্থক। তাঁদের সবাইকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। মহম্মদ মোরসির ছেলে ওসামা মোরসি-সহ ২১ জনকে দেওয়া হয়েছে ১০ বছরের সাজা। চিত্র সাংবাদিক মহম্মদ আবু জায়েদ-সহ ২১৫ জনকে পাঁচ বছরের সাজা শুনিয়েছে আদালত।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*