কলকাতার বুকে ধরা পড়ল মণিপুরি জঙ্গি সংগঠনের নেতা। ধৃত নেলসন সিং ওরফে আমন মণিপুরের কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি ( মিলিটারি কাউন্সিল প্রগ্রেসিভ ) তথা কেসিপি জঙ্গি সংগঠনের অন্যতম কমান্ডার। এসপ্ল্যানেড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
কেসিপি একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন৷ ১৯৮০ সাল থেকে মণিপুরে এই সংগঠন সক্রিয়৷ মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় তাদের কিছু ঘাঁটি আছে৷ সংগঠনটি একমাত্র উত্তর পূর্ব ভারতেই পরিচিত৷ সংগঠনের জঙ্গি শিবির চলে মায়ানমারে৷ ১৯৮০ সাল থেকে পৃথক স্বশাসিত এলাকার দাবি তুলে সশস্ত্র পথে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন চালাচ্ছে কেসিপি৷ সেনা কনভয়ে একাধিক হামলায় জড়িত তারা৷ ভারতে এই দল নিষিদ্ধ।
যোধপুর পার্কে একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় এই দল যুক্ত বলে খবর পেয়েছিল কলকাতা পুলিশ। সেই সূত্রে খোঁজ করতে গিয়ে গত বছর পুলিশের হাতে ধরা পড়ে অন্যতম অভিযুক্ত লিশম ইবুমগতম্বা সিং নামে আরও এক কেসিপি জঙ্গি। তার বাড়ি পূর্ব ইম্ফল৷ শিলিগুড়িতে ডাকাতি করে গিয়ে ধরা পড়েছিল লিশম ও আরও দুই দুষ্কৃতী৷ পরে জানা যায়, ধৃতেরা প্রত্যেকেই মনিপুরের জঙ্গি সংগঠন কেসিপি সদস্য৷ গোয়েন্দাদের ধারণা, সংগঠন চালানোর টাকা জোগাড় করতেই এখন ডাকাতিতেও হাত পাকাচ্ছে এই কেসিপি জঙ্গিরা৷
মণিপুরের কেসিপি জঙ্গি গোষ্ঠীর বিচরণ ক্ষেত্র এতদিন ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল৷ বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি, ব্যবসায়ীদের অপহরণ করে মুক্তিপণের টাকা জোগাড় করেই সংগঠন চালায় তারা৷ কিন্তু কাজের ধরণ বদলে তারা এখন ডাকাতিতে যুক্ত হয়েছে বলেও খবর পেয়েছেন গোয়েন্দারা৷
ধৃত আমনের কাছ থেকে একটি ৯ এমএম পিস্তল, ২টি ৭ এমএম পিস্তল ও তিনটি কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের জেরায় আমন স্বীকার করেছে যে মণিপুরে বেশ কিছু অপহরণের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। কিন্তু ঠিক কি কাজ করার জন্য সে কলকাতায় এসেছিল সে সম্বন্ধে এখনও কিছু কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রবিবার আমনকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
Be the first to comment