বনধের দিন সকাল থেকেই জনজীবন স্বাভাবিক কলকাতা সহ আশেপাশের এলাকায়

Spread the love

পেট্রল-ডিজেল-রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কংগ্রেস এবং পাঁচ বাম দলের ডাকা ধর্মঘটের সকালেও জ্বালানির দাম বেড়েছে ২২ পয়সা। এদিকে বনধের দিন সকাল থেকেই জনজীবন স্বাভাবিক কলকাতা সহ আশেপাশের এলাকায়। যত সময় এগোচ্ছে ততই রাস্তায় বাড়ছে মানুষ এবং বাস ও ট্যাক্সির সংখ্যা। অন্যান্য দিনের মতো চলছে অ্যাপ ক্যাবও। রাস্তায় মোতায়েন রয়েছে প্রায় দেড় হাজার পুলিশকর্মী।

হাওড়া এবং শিয়ালদহের সবকটি ডিভিশনে সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে ট্রেন পরিষেবা। কোথাও কোনও অবরোধ বা পিকেটিং-এর খবর নেই। ব্যারাকপুর, হুগলি, দুর্গাপুর, হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে বনধের প্রথম দেড় ঘণ্টায় কোনও প্রভাব পড়েনি। বিভিন্ন কারখানা এবং জুটমিলে স্বাআবিক রয়েছে শ্রমিকদের হাজিরা। বীরভূমের সিউড়িতে সরকারি বাস পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে।তবে বেসরকারি বাস তুলনায় কম চলছে বলে খবর। এ ছাড়াও চলছে অটো এবং টোটো। স্বাভাবিক রয়েছে ট্রেন পরিষেবাও। রামপুরহাটেও সরকারি বাস এবং অটো ও টোটো চলছে। তবে বেসরকারি বাস সংখ্যায় কম চলায় সরকারি বাস এবং বাকি যানবাহনে প্রচুর ভিড় হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

যদিও লক্ষ্মীকান্তপুর আপ শাখায় ট্রেন পরিষেবা ব্যহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে, জানা গিয়েছে বনধ সমর্থনকারীরা ওভারহেডের তারে কলাপাতা দিয়ে ট্রেন আটকেছেন। অন্যদিকে হাওড়ার দাশনগরে পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়েছে বামেদের। শানপুরে হাওড়া-আমতা রোড অবরোধ করে বামেরা। বনধের সমর্থনে এ দিন সকালে যাদবপুর অঞ্চলে মিছিল করেন বামেরা। যাদবপুর স্টেশনে আপ এবং ডাউন লাইনে আটকানো হয় ট্রেন। আটকে পড়ে ক্যানিং লোকাল। যদিও খানিক্ষণ পরেই যাত্রীদের বিক্ষোভে পিছি হঠেন অবরোধকারীরা। অন্যদিকে হুগলির শ্রীরামপুরের ট্রেন অবরোধ করে বামেরা। আটকে পড়ে বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন। তবে কিছু সময় পরে রেল পুলিশ এসে এই অবরোধও তুলে দেয় বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, দুর্গাপুরের ওয়ারিয়া স্টেশনে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস আটকানোর চেষ্টা করেন বামেরা। জানা গিয়েছে, রেল পুলিশ এসে সেই অবরোধ তুলে দেন।
আজ রাস্তায় নামে মোট ৪ হাজার বাস। অন্যান্য দিনের তুলনায় এই সংখ্যা ৪০০টি বেশি। থাকবে ৫০টি ট্রামও। জলযান পরিষেবার ক্ষেত্রে ১২৫টি জলযান পরিষেবায় হাজির থাকবে বলে জানা গিয়েছে। শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরের চিত্র অবশ্য খানিকটা আলাদা। ট্রেনের পরিষেবা স্বাভাবিক থাকলেও বনধের কথা বলে অনেক ট্যাক্সি ড্রাইভার অতিরিক্ত ভাড়া চাইছেন বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। যে ভাড়া ৮০ টাকায় হয়ে যায় সেই ভাড়া চাওয়া হচ্ছে প্রায় ৩০০ টাকা। যদিও ট্যাক্সি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টের দাবি এ ধরণের কোনও অভিযোগ তাদের কাছে নেই। তবে যদি কোনও অভিযোগ আসে তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*