ভরদুপুরে দুর্গাপুর স্টেশন রোডে দুঃসাহসিক ডাকাতি। ক্রেতা সেজে ঢুকে গোটা দোকান লুঠে নিয়ে চম্পট দিয়েছে গোটা পাঁচ জন দুষ্কৃতী। দলের প্রত্যেকের হাতেই ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। ডাকাতদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। রবিবার ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় সোমবার সকাল পর্যন্ত কাওকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দুর্গাপুর এফবি মোড়ের কাছে জেপি অ্যাভিনিউর গিনি গোল্ড জুয়েলারি নামে সোনার দোকানটিতে ঘটে এই ডাকাতির ঘটনা। দোকানের কর্মচারীদের কথায়,পুজোর আগে গোটা দোকানটাই নতুন ডিজাইনের গয়না দিয়ে সাজানো। দুপুর বেলা দোকান সাধারণত ফাঁকাই থাকে। সোয়া দু’টো নাগাদ দু’জন যুবক দোকানে ঢুকে সোনার আংটি, বালা দেখতে চায়। সেইমতো তাদের গয়না দেখানো শুরু করেন কর্মচারীরা। হঠাৎই পিস্তল বার করে কর্মচারীদের মাথায় ধরে তারা।
সেই সময় দোকানে ঢুকে আসে আরও তিনজন। দরজায় দাঁড়ানো নিরাপত্তারক্ষীকে ধাক্কা মেরেই দোকানে ঢোকে তারা। কর্মচারীদের কথায়, নিরাপত্তারক্ষীর হাতে কোনও অস্ত্র ছিল না। তাই তিনি বাধা দিতে পারেননি। দোকানে ঢুকে আসা তিন যুবকের কাছেও ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। ঝটপট কর্মচারীদের ধাক্কা দিয়ে দোকানেরই গোডাউনে ঢুকিয়ে তালা বন্ধ করে দেয় তারা। কেড়ে নেওয়া হয় তাঁদের মোবাইলও। ১৫ মিনিটের মধ্যে ডাকাতির কাজ সেরে চম্পট দেয়। ওই পাঁচ জনই একটি বোলেরো গাড়িতে চেপে এসেছিল বলে জানিয়েছেন দোকানের মালিক।
দোকানের কর্মচারীদের কথায়, সমস্ত শো-কেস, ডিসপ্লে বোর্ডে যত গয়না ছিল সমস্ত লুঠে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। প্রায় ৮-৯ কিলোগ্রাম ওজনের গয়না খোয়া গেছে দোকান থেকে। সেই সঙ্গে প্রায় ৫ লক্ষ নগদ টাকা। প্রমাণ মেটানোর জন্য দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআর বক্সও খুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, খবর পাওয়ার ঘণ্টা তিনেকের মধ্যেই বোলেরো গাড়িটিকে আটক করা হয়। তার মধ্যে ডিভিআর বক্সটি পাওয়া গেছে, তবে স্টোরেজ ডিভাইসটা খুলে নিয়ে গেছে ডাকাতেরা। নম্বর প্লেট দেখে গাড়ির মালিকের খোঁজ শুরু হয়েছে।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (১ নম্বর) অভিষেক মোদী বলেছেন, ‘‘ওই পাঁচ যুবক সম্ভবত বিহার বা ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। দোকানের কর্মচারীদের জিজ্ঞাসা করে জেনেছি তারা বাংলা, হিন্দি দু’ভাষাতেই কথা বলছিল। খুব তাড়াতাড়ি ডাকাত দলকে ধরে ফেলব।’’
Be the first to comment