প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের দাবি হিন্দু হস্টেলের একাংশ সংস্কার হয়ে গেলেও সেখানে পড়ুয়াদের থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রায় চার বছর ধরে বন্ধ রয়েছে হস্টেল। বাধ্য হয়ে পড়ুয়ারা এখন থাকছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ভবনের তিন তলায়। মাঝে মাঝে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন বেশ কিছু পড়ুয়া। কিন্তু এতদিন কেটে গেলেও সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। বরং পড়ুয়ারা অভিযোগ করেছেন, সব কিছু জেনেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই এ বার দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনে নেমেছেন পড়ুয়ারা। তাদের সাফ কথা আগে হস্টেল ফেরত দেওয়া হোক। তারপরেই খুলবে গেটের তালা।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আগের দিনই আন্দোলনে নামল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ। হিন্দু হস্টেল পড়ুয়াদের থাকার জন্য ফিরিয়ে দিতে হবে, এই দাবিতেই সোমবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও ভিতরে ঢুকতে পারেননি উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া।
সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্সির উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া বলেন, “আইন বিরুদ্ধ কাজ করছেন পড়ুয়ারা। এ ভাবে ১০০ জন ছাত্র মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দখল করে নিতে পারে? কী বলবেন এটাকে? এরা ছাত্র?” এরপর উপাচার্য বলেন, “শিক্ষামন্ত্রীকে বিষয়টা জানানো হয়েছে। রাজ্যপালের সঙ্গেও আমি কথা বলবো। সমস্ত বিষয়টা জানাবো।” এ দিন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকতে পারেননি রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার সহ অন্যান্য অধ্যাপক, অধ্যাপিকা ও অশিক্ষক কর্মচারীরা। তবে পড়ুয়াদের সঙ্গে কোনওরকম বচসায় জড়াননি কেউই। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে চলে যান।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট তো আর কারখানার গেট নয়, যে তালা লাগিয়ে দিলাম আর চলে গেলাম। এই রাজনীতি আসলে ৩৪ বছর ধরে শিখে এসেছে। সেই প্রভাব থেকে বেরোতে পারছে না। কর্তৃপক্ষও প্রভাবমুক্ত হতে পারেনি। দেখছে। কিন্তু ব্যবস্থা নিতে পারছে না।” তবে হস্টেল প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “বিষয়টা মানবিকতার সঙ্গে দেখতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব যাতে হস্টেলের সংস্কার করা যায় সেই দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।”
Be the first to comment