প্রথমে গত বুধবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরে তাঁর রক্তমাখা গাড়ি উদ্ধার হয় মুম্বইয়ের একটি বহুতলের পার্কিং লট থেকে। পরে কল্যাণ থেকে পাওয়া যায় তাঁর মৃতদেহও। দেহে অন্তত ১৩টি ছুরির আঘাত ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। রবিবার সরফরাজ শেখ নামে ২০ বছরের এক তরুণকে নবি মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গেছে, সেই মাত্র ৩৫ হাজার টাকার জন্য খুন করেছে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের কর্তা সিদ্ধার্থ সাঙ্গভিকে।
অন্য দিনের মতোই সিদ্ধার্থ অফিস থেকে বেরিয়ে পার্কিং লটে গাড়িতে উঠতে যাচ্ছিলেন। শেখানেই লুকিয়েছিল সরফরাজ। কদিন আগে এটি মোটরবাইক কেনার পর ৩৫ হাজার টাকা দেনা হয়েছিল তার। পুলিশের অনুমান, সে টাকা চায় সিদ্ধার্থের কাছে। তিনি দিতে রাজি না হলে সরফরাজ ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ৩৯ বছরের উপর। তার পরে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে সিদ্ধার্থকে। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট থেকে বোঝা গেছে পেছন দিক থেকে গলার নলি কেটে দেয় দুষ্কৃতী। ক্যারটিড আর্টারি অর্থাৎ যে ধমনী দিয়ে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ হয়, সেটি কেটে দেওয়ার ফলে সিদ্ধার্থ জ্ঞান হারান। প্রবল রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তাঁর। সিদ্ধার্থের বাবা ও ভাই তাঁর মৃতদেহ সনাক্ত করেন তাঁর পকেটে থাকা আইডেনটিটি কার্ড দেখে।
পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অবিনাশ কুমার জানিয়েছেন, সিদ্ধার্থকে খুন করার পরে তার দেহ থানেতে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেয়। তার পর গাড়িটিও কাছেই এক জায়গায় নিয়ে গিয়ে সেখানে ফেলে দিয়ে পালায়। এর দুদিন পরে সিদ্ধার্থের বাবার কাছে একটি ফোন আসে। তাতে বলা হয়, তাঁর ছেলে ঠিক আছেন। চিন্তার কোনও কারণ নেই। পুলিশ জানিয়েছে, সিদ্ধার্থের মোবাইলে অন্য সিমকার্ড ঢুকিয়ে ফোনটি করেছিল সরফরাজ। তাকে নবি মুম্বই থেকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধার্থ ২০০৭ সালে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কে যোগ দেন। পরে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কাজ করতেন। তিনি ক্রেডিট ও মাকেট রিস্ক বিশেষজ্ঞ ছিলেন। অভিজাত মালাবার হিলসের বাসিন্দা সিদ্ধার্থের স্ত্রী ও একটি আট বছরের ছেলে আছে।
Be the first to comment