স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের করা খোরপোশ মামলায় আদালতে জোর ধাক্কা খেলেন কলকাতার মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার আলিপুর জজ কোর্টের বিচারক শান্তনু মিশ্রের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। শুনানিতে বিচারক বলেন, বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চালাতে গিয়ে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার যে দাবি রত্না দেবী করেছেন তা যথাযথ। তাই মামলার খরচ বাবদ স্ত্রী রত্নাকে টাকা দেওয়ার জন্য শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এ ছাড়াও রত্না চট্টোপাধ্যায়কে এককালীন ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মেয়রকে। মেয়ের পড়ার খরচের জন্য প্রত্যেক মাসে ৪০ হাজার টাকা করে দিতে হবে শোভনবাবুকে।
যদিও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীরা দাবি জানিয়েছেন আলিপুর আদলতের এই রায় পক্ষপাতদুষ্ট। তাই এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করবেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, আলিপুর আদালতে শোভনবাবু, ২২ বছর ধরে ঘর করা রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন। মাস তিনেক আগে রত্না দেবী পাল্টা মামলা করেন শোভনবাবুর বিরুদ্ধে। রত্নাদেবী বলেন, তাঁর মেয়ের খোরপোশ, পড়াশোনার খরচ বাবা হিসেবে মেয়র সাহেবকে দিতে হবে। সেই সঙ্গে মামলা লড়তে গিয়ে তাঁর ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। সে টাকাও দাবি করেন তিনি। আলিপুর আদালতের বিচারক শান্তনু মিশ্রের এজলাসে রত্না আবেদন করেন, আগে খোরপোশের মামলার নিস্পত্তি হোক, তারপর মূল মামলায় ফেরা যাবে।
কিন্তু আলিপুর আদালত মেয়রপত্নীর সেই আবেদন নাকচ করে জানিয়ে দেয় দুটি মামলা একসঙ্গে চলতে পারে। একেই চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান রত্না। সেখানেই বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যর এজলাসে ওঠে এই মামলা। তিনি জানিয়ে দেন, আগে খোরপোশের মামলা মেটাতে হবে তারপর ডিভোর্স। সেই মামলারই শুনানি হলো মঙ্গলবার।
Be the first to comment