ভারতীয় বায়ুসেনাকে যে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়, তা পৃথিবীর কোনও দেশকে করতে হয় না। বুধবার বায়ুসেনার এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান বি.এস ধানোয়া।
তবে তার মোকাবিলার জন্য ভারতীয় বায়ুসেনা প্রস্তুত আছে বলেও মন্তব্য করেন বায়ুসেনা প্রধান ধানোয়া। সেইসঙ্গে তিনি এও বলেন শত্রুপক্ষকে ধরাশায়ী করতে হলে ভারতকে আরও শক্তিশালী হতে হবে। তিব্বতে চিন যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে রেখেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রয়োজন আরও বেশি সংখ্যক যুদ্ধবিমান।
বায়ুসেনা প্রধান জানান, রাফায়েল বিমান এবং মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম এস-৪০০-এর মাধ্যমে ভারতীয় সেনা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে৷ ভারতের কাছে ৩১ স্কোয়াড্রন রয়েছে যা শত্রু মোকাবিলায় যথেষ্ট নয় বলে মত তাঁর৷
এই রাফায়েল চুক্তি নিয়েই বিরোধী দলগুলির নিশানায় কেন্দ্রীয় সরকার৷ এই বিষয় নিয়ে এই প্রথম ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান বক্তব্য পেশ করেন৷ মোদী সরকারকে এই বিষয়ে সমর্থন করে তিনি বলেন, রাফায়েল বিমানের সাহায্যে সমস্যার সমাধান করা আরও সহজ হবে৷ তবে এর পাশাপাশি তিনি এও জানান, ভারতের কাছে বেশ কিছু অস্ত্রের অভাব রয়েছে যার জন্য অনেকক্ষেত্রেই শত্রু মোকাবিলার কাজ কিছুক্ষেত্রে কঠিন হতে পারে৷
ভারতকে রীতিমত ধাক্কা দিয়ে চিনের সঙ্গে মহড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল। আগামী ১৭ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনের চেংদুতে চিনা বাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নেবে নেপালের সেনাবাহিনী। ফলস্বরূপ, সেপ্টেম্বরেই পুণেতে ভারত-সহ ‘বিমস্টেক’ জোটের দেশগুলির যে সেনা মহড়া হচ্ছে, সেখানে যোগ দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে নেপাল।
নেপালের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোকুল ভান্ডারী সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এর আগেও চিনের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছিল নেপাল। গত বছরের এপ্রিলে। চেংদুতে এ বার যে ১২ দিনের চিন-নেপাল যৌথ সেনা মহড়া শুরু হতে চলেছে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে, তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সাগরমাতা মৈত্রী-২’।
Be the first to comment