বিস্ফোরণের ঘটনার পর কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাংনাপুরের বাজি কারখানাটি। ক্ষতিগ্রস্ত আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িও। পরিত্যক্ত বাড়িটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সোমবার পুড়ে যাওয়া কারখানায় তল্লাশি শুরু করেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা।
রবিবার বিকেলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয় কারখানাটিতে। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে লাগোয়া কারখানাগুলিতেও। সাত ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। তবে, এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ কারখানাগুলি বৈধ হলেও, যে পরিমাণ শব্দবাজি মজুত থাকার কথা তার থেকে অনেক বেশি পরিমাণ বাজি মজুত থাকত। তাই এত তীব্র বিস্ফোরণ হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন কারখানার মালিক মিঠু মণ্ডল (৫৫) ও কর্মী রঞ্জিত বিশ্বাস (৫৩)। আহত দু’জনকে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এক জনকে ছেড়ে দেওয়ায় হয়েছে।
[9/17, 6:48 PM] Ashis Rojdin: পরিত্যক্ত বাড়িটিতে এখন পড়ে রয়েছে গ্যাসের সিলিন্ডার-সহ বাড়ীর সমস্ত ব্যবহৃত জিনিস। কারখানার গোডাউন থেকে প্রচুর বেআইনি বাজি উদ্ধার করেছে ফরেন্সিক দল। তল্লাশি চালানো হয়েছে আশপাশের কারখানাগুলিতেও। সেখান থেকেও মিলেছে প্রচুর পরিমাণ বাজি।
গতকালের বিস্ফোরণের পর এলাকাতেও তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কী ভাবে এত পরিমাণ বেআইনি বাজি মজুত করে রাখা হয়েছে কারখানাগুলিতে সে নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ভবিষ্যতে ফের বিস্ফোরণের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে এলাকায়।
Be the first to comment