জনতার হাতে বেধড়ক মার খাচ্ছে এক যুবক। কিছুক্ষণ পরে সে মাটিতে পড়ে কাতরাতে লাগল। এক সাব ইনস্পেক্টর সহ চার পুলিশকর্মী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলেন সব। কিন্তু মারমুখী জনতাকে ঠেকানোর চেষ্টা করলেন না। আহত ব্যক্তি যখন মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছে তাকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন না। এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে সাসপেন্ড হয়েছেন ওই চার পুলিশকর্মী।
যে ব্যক্তিকে গণধোলাই দেওয়া হচ্ছিল, তার নাম ফারুক খান। বয়স ২৬। সে মণিপুরের থৌবাল জেলায় থাকত। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুই সঙ্গীর সঙ্গে সে যখন গাড়ি চড়ে যাচ্ছিল, জনতা তাদের আক্রমণ করে। তাদের ধারণা হয়েছিল, ফারুক ও তার বন্ধুরা টু হুইলার চুরি করার মতলবে ঘুরছে।
জনতা তেড়ে আসছে দেখে দুজন পালায়। কিন্তু ধরা পড়ে ফারুক। গণধোলাইয়ে সে মারা যায়। তাদের গাড়িটিও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় পুলিশ আইআরবি-র এক কনস্টেবল সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। মণিপুর হিউম্যান রাইটস কমিশন পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছে, এসম্পর্কে তদন্ত করে ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে।
Be the first to comment