পেরিয়ে গেছে ৫৫ ঘণ্টার বেশি সময়। এখনও জ্বলছে বাগরি মার্কেট। পাইকারি বিক্রির খাস তালুক ক্যানিং স্ট্রিট এলাকা যা থাকত হাজার হাজার মানুষের কলরবে মুখরিত, সেখানেই এখন বিকট পোড়া গন্ধের সঙ্গে মানুষের হাহাকার।
আগুনতো নেভেইনি, মঙ্গলবার ভোর থেকে ভেঙে পড়তে শুরু করল বাগরি মার্কেটের দেওয়াল। খসে পড়ছে সিলিঙের চাঙড়। দমকল সূত্রে জানা গেছে, এ দিন ভোরে মার্কেটের ডি ব্লকের বেশ কয়েকটি দোকানে দেওয়াল ভেঙে পড়ে। ‘কুলিং প্রসেস’ চালাতে গিয়েই দমকল কর্মীরা দেখতে পান একতলা এবং দোতলার ছাদের বড় অংশ কার্যত হা হয়ে গেছে। দমকলকর্মীদের আশঙ্কা যত সময় গড়াবে ততই ভেঙে পড়বে মার্কেটের বিভিন্ন অংশ। এখনও যেভাবে আগুন জ্বলছে তাতে দমকলকর্মীদের আন্দাজ আরও কম করে দু’দিন এই আগুন জ্বলবে।
নন্দরাম মার্কেটের আগুন জ্বলেছিল ১০০ ঘণ্টার বেশি সময়। কিন্তু মূল বাড়ির কাঠামোয় কোনও প্রভাব পড়েনি। অনেকের মতে, বাগরির বিল্ডিং তেমন শক্ত কাঠামো নয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে গোটা বিল্ডিংটাই মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে।
ইতিমধ্যেই বাগরি অগ্নিকাণ্ড নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনিক মহলে। কখনও অভিযোগ উঠেছে সরকারের নরম মনোভাবের, কখনও আবার সামনে এসেছে দু’মাস আগে কলকাতা কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ করার ঘটনা। এর মধ্যেই সোমবারা নবান্নে মন্ত্রীগোষ্ঠীর সভা হয়েছে। দু’দিনের মধ্যে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, সব বিপর্যয়ের পরেই এই রিপোর্ট তলব, কমিটি গঠন এ সব হয়। কিন্তু আবার সব ধামা চাপা পড়ে যায়।
কিন্তু দমকলের চিন্তা একটাই। নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও নেভেনি আগুন।
Be the first to comment