ভর্তির প্রক্রিয়া নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে যাদবপুর বিদ্যাপীঠে। চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে উঠতে গেলে লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে পড়ুয়াদের। স্কুল কর্তৃপক্ষের জারি করা এই নোটিসের প্রতিবাদেই সকাল থেকে স্কুল-ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন অভিভাববকরা।
রাজা এসসি মল্লিক রোড আটকে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। ফলে যানজট দেখা দিয়েছে যাদবপুর থানা ও গড়িয়া যাওয়ার রাস্তাতেও। যানযটের কারণে নাকাল নিত্যযাত্রীরা। আটকে রয়েছে অন্যান্য স্কুল বাসগুলিও।
নিজেদের দাবি জানাতে রাস্তাতেই বসে পড়েছেন অভিভাবকরা। স্কুল পড়ুয়া ও শিক্ষকদের স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের বাইকে চেপে স্কুলে ঢোকার চেষ্টা করেও বিফল হন প্রধান শিক্ষক। অভিভাবকদের অভিযোগ, গত শনিবার হাইস্কুলের তরফে একটি নোটিস দিয়ে জানানো হয় যে, পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে আরও একবার লটারি হবে।নার্সারিতেও লটারি পদ্ধতির মাধ্যমে ভর্তি করা হয়েছিল পড়ুয়াদের। পঞ্চম শ্রেণিতে ১৮ টি আসন রয়েছে। অভিভাবকদের দাবি, ওই সবগুলি আসনে সরাসরি পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া হোক।
এক অভিভাবকের কথায়, ‘‘চতুর্থ শ্রেণি অবধি এই স্কুলে পড়ার পর যদি লটারিতে নাম না ওঠে তা হলে কী হবে? পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ জড়িয়ে রয়েছে এর সঙ্গে। সরাসরি ভর্তি না নিলে আমরা অবরোধ চালিয়ে যাব।’’
তবে, অভিভাবকদের অভিযোগ মানতে নারাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, অভিভাবকরা বৃথাই ঝামেলা করছেন। নোটিসে বলা হয়েছে পঞ্চম শ্রেণিতে কতগুলি আসন রয়েছে সেটা দেখে পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া হবে। অবশিষ্ট যে আসনগুলি থাকবে সেখানে লটারির মাধ্যমে পড়ুয়াদের নির্বাচন করা হবে। কিন্তু, প্রধান শিক্ষকের আশ্বাসেও চিঁড়ে ভেজেনি। অভিভাবকদের দাবি, লিখিত নোটিস দিয়ে পড়ুয়াদের সরাসরি ভর্তির খবর জানাতে হবে। শুধুমাত্র আশ্বাসে কাজ হবে না।
এ দিন সকাল ৭টা থেকেই স্কুল চত্বরে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। সকাল ৯টার পর থেকে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অভিভাবকরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। প্রধান শিক্ষকের পাশাপাশি স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদেরও ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।
Be the first to comment