শুধু বাগরি মার্কেট নয়, কলকাতায় আর এ রকম বেশ কয়েকটি মার্কেট আছে, যেগুলির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এ কথা ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে বলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই সব ব্যবসায়ী কারও কথা শোনেন না। মমতা বলেন, ‘’হয় তুমি করো, না হয় আমাদের করতে দাও। ওরা পুরসভার কথা শোনে না। মাঝখান থেকে বিপজ্জনক ঘটনা ঘটলে সরকার কেন দায়ী হবে?“
মমতার এই মন্তব্যের সমালোচনা করে রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ”এই রাজ্যে সরকার আছে বলে মনে হয় না। সাধারণ মানুষকে ভগবানের হাতে ছেড়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ফ্রাঙ্কফুর্টে বসে এ সব বলছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, ব্যবসায়ীরা যা খুশি তাই করছেন। তা হলে সরকার কী করছিল!”
এ দিকে, ৬৩ ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ার পরেও বাগরি মার্কেটের আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। গত দুদিনের চেয়ে পরিস্থিতি ভালো হলেও বিভিন্ন খোপে, পকেটে ধিকিধিকি এখনও জ্বলছে আগুন। অতিরিক্ত পরিমাণে দাহ্য বস্তু জমা থাকার কারণেই এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে অত সময় লাগছে বলে জানিয়েছেন দমকলের আধিকারিকেরা। মঙ্গলবার ভেঙে মার্কেটের কিছুটা অংশ। প্রতি তলায় ও দেওয়ালে বিরাট ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে বাড়িটির ব় অংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
Be the first to comment