মাথা গরমের খেসারত দিতে হলো আফরোজকে, পড়ুন!

Spread the love
কাজ থেকে ফিরে মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল আফরোজের। পকোড়া কেন ঠাণ্ডা হয়ে গেছে এই নিয়ে বচসা শুরু হয় স্ত্রীয়ের সঙ্গে। মেয়ে-জামাইয়ের ঝগড়া থামাতে এগিয়ে আসেন শাশুড়ি। তাতেই রাগ আরও সপ্তমে ওঠে যুবকের। ছুরি দিয়েই কোপ বসিয়ে দেয় শাশুড়ির বুকে। ছুরি দিয়ে আঘাত করে স্ত্রীকেও। স্ত্রী বেঁচে গেলেও মৃত্যু হয়েছে শাশুড়ি ফৌজিদার। জানা গিয়েছে শাশুড়িকে খুন করে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল আফরোজ। পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং মুম্বাইয়ের নানা জায়গায় আত্মগোপন করেছিল সে। সম্প্রতি গোপন সূত্রে খোঁজ পেয়ে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শায়িস্তার সঙ্গে আফরোজের বিয়ে হয় গত বছর। বিয়ের পরে স্ত্রীকে নিয়ে কেশবপুরমের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতে শুরু করে আফরোজ। কিছুদিন পরে সেই বাড়িতে এসে ওঠেন শায়িস্তার মা ফৌজিদা। শাশুড়ির তাদের সঙ্গে থাকাটা মেনে নিতে পারেনি আফরোজ। প্রতিদিনই এই নিয়ে স্ত্রীয়ের সঙ্গে ঝগড়া-অশান্তি হত তার।
আফরোজের বয়স বছর চব্বিশ। মজুরের কাজ করত সে। কেশবপুরমের স্টেশন হাউস অফিসারের কথায়, ঘটনার দিন কাজ থেকে ফেরার পর তাকে পকোড়া খেতে দেয় শায়িস্তা। খাবার কেন ঠাণ্ডা হয়ে গেছে এই নিয়ে প্রথমে শায়িস্তার সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেয় আফরোজ। বচসা বাড়তে থাকলে তাদের মাঝে হাজির হয় ফৌজিদা। শাশুড়িকে দেখে মাথা আরও গরম হয়ে যায় যুবকের। ছুরি দিয়ে বার বার কোপ বসাতে থাকে শাশুড়ির বুকে। ছুরির দিয়ে আঘাত করে স্ত্রীকেও। এর পর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
দিল্লির ডিসিপি (উত্তর-পশ্চিম) আসলাম খান জানিয়েছেন, গাজিপুরে একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিল আফরোজ। পুলিশ দেখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ধানক্ষেতের ভিতর দিয়ে ছুটতে শুরু করে সে। প্রায় ১০ কিলোমিটার এই ভাবে ধাওয়া করে তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*