স্ত্রী অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। এমন সন্দেহ বহুদিন ধরেই ছিল স্বামীর। সেই সন্দেহ থেকে প্রায়ই সংসারে অশান্তি লেগে থাকত। মঙ্গলবার, অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে স্ত্রীকে দেখে মাথার ঠিক রাখতে পারেননি স্বামী। শাবল দিয়েই কুপিয়ে খুন করেন স্ত্রীকে।
ঘটনাটা বীরভূমের সদাইপুর থানার সাহাপুর গ্রামের। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা জয়ন্ত দাসের সঙ্গে বছর সাতেক আগে বিয়ে হয় সনোকা দাসের। সনোকা পানুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয়দের কথায়, গত দু’বছর ধরে নানা কারণে জয়ন্ত এবং সনোকার মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। তাঁদের বাড়ি থেকে প্রায়ই চিৎকার, চেঁচামেচির শব্দ পাওয়া যেত।
জয়ন্তই এলাকায় রটিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী সনোকা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত। পাশের গ্রামের মানিক দাস নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে সনোকার সম্পর্ক রয়েছে। গতকাল, ফের মানিকের সঙ্গে স্ত্রীকে কথাবার্তা বলতে দেখেন জয়ন্ত। তাঁর দাবি, দু’জনে একসঙ্গে বসে মদ্যপান করছিলেন। স্ত্রীকে এই অবস্থায় দেখে শাবল নিয়ে তেড়ে যান জয়ন্ত। এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করেন সনোকাকে। রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন সনোকা। পরে, তাঁদের ছেলে লোকনাথ সনোকাকে উদ্ধার করে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই রাত সাড়ে দশটা নাগাদ মৃত্যু হয় সনোকার।
মৃতার পরিবারের লোকজনের দাবি, পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই খুন করেছেন জয়ন্ত। সনোকার কোনও অবৈধ সম্পর্কই ছিল না। পুরোটাই রটিয়েছিলেন তাঁর স্বামী।
পুলিশ জানিয়েছেন, ঘটনার বিষয়ে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
Be the first to comment