সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় আর দেরি করতে রাজি নয় বিজেপি-আরএসএস। সূত্র জানাচ্ছে, সম্ভবত নভেম্বরেই জারি হতে চলেছে অযোধ্যা অর্ডিন্যান্স। এব্যাপারে খসড়া নিয়ে তৈরি প্রধানমন্ত্রীর দফতর। ১৯৯৩ সালে পি ভি নরসিমা রাওয়ের আমলে অযোধ্যার কিছু এলাকা অধিগ্রহণ করে যে আইন হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছেন অফিসাররা। আরএসএস এবং সাধুসন্তরা রামন্দিরের জন্য সুর চড়ানোর পর এনিয়ে চাপে মোদির সরকার। আপাতত ঠিক হয়েছে, নভেম্বরের মাঝামাঝি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে অর্ডিন্যান্সটি নিয়ে আলোচনা হবে। তারপরে জারি করা হবে সেটি।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের পর সংসদের শীতকালীন অধিবেশন বসছে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। সেখানেও অর্ডিন্যান্সটি নিয়ে বিতর্ক হবে। আরেকটি মহলের মতে, অর্ডিন্যান্স না এনে সরকার সরাসরি সংসদে বিল পেশ করতে পারে। এই দুটি ব্যাপারেই আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। বিজেপি-আরএসএসের ধারণা, রামমন্দির ইস্যু তাদের রাজনৈতিকভাবে সাহায্য করবে। আগামি লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত সে হাওয়া টেনে নিয়ে যাওয়া যাবে। জামুয়ারি মাস থেকেই লোকসবা ভোটের তোড়জোড় শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। ভোট না মেটা পর্যন্ত যাতে হিন্দি ও ইংরেজি চ্যানেল শিরোনামে রামমন্দির থাকে, তার জন্য চেষ্টার কোনও খামতি রাখবে না বিজেপি।
Be the first to comment