অনলাইনে বিনিয়োগের ফাঁদ। সেই ফাঁদেই মানুষকে বোকা বানিয়ে ২৬০ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ। সাধারণ মানুষের টাকা পুরোপুরি আত্মসাৎ করে আপাতত ফেরার আমেদাবাদের বিনয় শাহ। বাঁচতে, সোশ্যাল সাইটে সুইসাইড নোট পোস্টও করেছেন তিনি।
সুইসাইড নোটে শাহ লিখেছেন, তিনি নির্দোষ, এই ব্যবসার মিডলম্যানই সব টাকা নিয়ে তাঁকে ফাঁসিয়েছে।তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ তুলে না নিলে আত্মহত্যা করবেন। যদিও এই সুইসাইড নোটে একটুও গলেনি আমেদাবাদ পুলিশ। শাহকে খুঁজতে সমস্ত নেটওয়ার্ক সক্রিয় করা হয়েছে।
কী করে মানুষকে ঠকাতেন শাহ। জানা যাচ্ছে, গোটা বিষয়টি অনলাইনে পরিচালিত হত। বিনিয়োগকারীদের দ্বিগুন অঙ্কের টাকা ফেরতের আশ্বাস দিয়ে বোকা বানাতেন শাহ ও তাঁর স্ত্রী। অভিযোগকারীরা জানাচ্ছেন, শাহের সংস্থার একটি ওয়েবসাইট ছিল। সেখানে বিনিয়োগ করার বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখা যেত। সেই বিজ্ঞাপনগুলিতে ক্লিক করে টাকা বিনিয়োগ করা হত। অনলাইন ট্রান্সফারের মাধ্যমে খুব সহজেই চলত টাকা বিনিয়োগের খেলা।
গত এক বছর ধরে এইভাবেই ব্যবসা চালাচ্ছিলেন শাহ। কিন্তু, পাহাড় প্রমাণ আশ্বাস মিললেও মেয়াদ শেষে হাতে টাকা না আসায় সন্দেহ হয় বিনিয়োগকারীদের। চাপ দিতেই ফেরার হন বিনয় শাহ ও তাঁর স্ত্রী। আমেদাবাদ পুলিশ তদন্তে নেমে দেখে, ২৬০ কোটি টাকা নয়ছয় করে পালিয়েছেন শাহ ও তাঁর স্ত্রী।
সুইসাইড নোটে শাহ দাবি করেছেন, এই ব্যবসায় একজন মিডলম্যান রয়েছে। যার খোঁজ এখনও পায়নি পুলিশ।বিনিয়োগকারীদের থেকে এক-দেড় লাখ টাকা নিতেন শাহ। অনলাইনে রমরমিয়ে চলত ব্যবসা। এখনও পর্যন্ত শাহের অনলাইন সংস্থার নাম পুলিশ প্রকাশ্যে আনেনি । ওয়েবসাইটটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Be the first to comment