রাফাল নিয়ে বিতর্কে যেন বাড়ছেই। এবার চুক্তি নিয়ে ধোঁয়াশা আরও বাড়িয়ে দিল খোদ কেন্দ্রীয় সরকারই। বুধবারাই একপ্রস্থ সওয়াল জবাব চলে শীর্ষ আদালতে। সেখানে কেন্দ্রের সর্বোচ্চ আইনি পরামর্শদাতা কে কে ভেনুগোপাল স্বীকার করে নেন, রাফাল নিয়ে সামগ্রিক নিশ্চয়তা দেয়নি ফ্রান্স সরকার। শুধুমাত্র ‘লেটার অফ কমফোর্ট’ দেওয়া হয়েছিল। যার কোনও আইনি বৈধতাই নেই। ‘লেটার অফ কমফোর্ট’ হল অনেকটাই সামান্য আশ্বাসের মতো।
মূলত আইনজীবী ও সমাজকর্মী প্রশান্ত ভূষণের রাফাল সংক্রান্ত অভিযোগের শুনানিতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। তিনি বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানান। অভিযোগ, এই চুক্তিতে অনেকটাই দায় এড়িয়েছে ফ্রান্স সরকার। অথচ জেনে বুঝেও চুপ ভারত সরকার। এতদিন বলা হচ্ছিল রাফাল যুদ্ধবিমানের অস্ত্র ও যন্ত্রাংশের কার্যকারিতা এবং রক্ষণাবেক্ষণেরও নিশ্চয়তা দিয়েছিল দাসাউ। প্রায় ৪০ শতাংশ দাম বৃদ্ধিরও সেটাও একটি কারণ। তাঁর দাবি, প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকার চুক্তি। ঝুঁকি এড়াতে এধরনের চুক্তিতে সামগ্রিক নিশ্চয়তার আশ্বাস নেওয়া হয় বিদেশের সরকারের কাছ থেকে। কিন্তু এক্ষেত্রে সেরকম কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। নিশ্চয়তার বদলে শুধুমাত্র ‘লেটার অফ কমফোর্ট’ই যথেষ্টই খেলো। কোনও কারণে দাসাউ চুক্তি লঙ্ঘন করলে, জেনেভার আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া আর কোনও পথ খোলা থাকবে না। সেখানে গেলও বিপাকে পড়বে ভারত সরকারই। বলা বাহুল্য, যথোপযুক্ত উত্তর দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার।
Be the first to comment