বিয়ের প্রস্তুতি প্রায় শেষ আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব সব উপস্থিত । বর এসে ও গেছে । ঠাকুরমশাই এর অপেক্ষায় তিনি এলেই দুহাত এক হবে । এর মধ্যেই বিয়ে বাড়ির ছন্দ পতন । হঠাৎ শোনা গেল পুলিশের গাড়ি ঢুকছে এলাকায়। পুলিশ ও প্রশাসন কর্তাদের প্রশ্ন মেয়ের বয়স কত । জন্ম পরিচয়পত্র দেখে দেখা গেল মেয়েটির বয়স সতেরো বছর । পুলিশ, বি,ডি,ও ও চাইল্ডলাইনের নির্দেশে নাবালিকার বিয়েটি বন্ধ করা হল।
নাবালিকার মা ফুল মালঞ্চ পঞ্চায়েতের সদস্যা । তার চারটি সন্তান মেয়েটি দ্বিতীয় । বারুইপুরের মুখার্জি পাড়ার বাসিন্দা সুধা নস্করের সেজ ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক করেন ছেলেটি ইলেকট্রনিক এর কাজ করেন । এরই মধ্যে গোপন সূত্রে খবর পৌঁছে যায় ক্যানিং চাইল্ড লাইনের কাছে । ক্যানিং চাইল্ডলাইন থেকে যোগাযোগ করা হয় বাসন্তি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারীক সত্যব্রত ভট্টাচার্যের সঙ্গে ও বাসন্তীর বিডি ও কল্লোল বিশ্বাসের সাথে। তাদের নির্দেশে বাসন্তী থানার পুলিশ, বিডিও, চাইল্ড লাইনকে সঙ্গে নিয়ে নাবালিকার বিয়েটি বন্ধ করা হয় ।
ক্যানিং চাইল্ড লাইনের সদস্য বান্টি মুখার্জী বলেন রাজ্য সরকারের দেওয়া কন্যাশ্রী ও রুপশ্রী প্রকল্প স্বর্তে ও যে ভাবে নাবালিকা বিয়ে দিচ্ছে কিছু শ্রেনীর লোকজন তা সত্যি দুশ্চিন্তার বিষয় । তবে আগামী দিনে যাতে বাল্য বিবাহ বন্ধ হয় সে বিষয়ে মানুষকে আর ও সচেতন করতে হবে ।
যে প্রতিনিধিরা সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন সেই প্রতিনিধি তারই নাবালিকা কন্যা বিয়ে দিচ্ছেন নিজের হাতে। এই ঘটনায় বাসন্তী থানার পুলিশ পাত্র ও তার দাদা এবং নাবালিকা ও পঞ্চায়েত সদস্যা মা কে থানায় নিয়ে যান। নাবালিকাকে হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
Be the first to comment