উনিশে সামনে বিজেপি। কিন্তু দিদি দেখছেন দলের বহু নেতাকর্মীরই হেলদোল নেই। বেশ কিছু জায়গায় স্থানীয় নেতারা ‘টাকা কামাতে’, ‘আখের গোছাতে’ আর ‘লবি করতে’ ব্যস্ত। তা হলে দিলীপ ঘোষদের মোকাবিলা করবে কে! শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধিত সাধারণ পরিষদের বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতা কর্মীতে ঠাসা সেই সভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি এ দিন বলেন, “কোথায় কে টাকা তুলছে, আমার কাছে সব খবর আছে। একেবারে মুখস্থ। তাই বলছি সাবধান হয়ে যান।”
দিদির কথায়, “কাজের মধ্যে দিয়ে নেতা তৈরি হয়। তার জন্য লবি করার দরকার হয় না। যে কাজ করবে না, দল দেখবে, ওয়েট করবে তারপর নামটা ঘ্যাঁচ করে কেটে দেবে।”
উল্লেখ্য, বাংলায় সরকার গঠনের পর থেকে বেশ কিছু জনমুখী প্রকল্প ঘোষণা করেছেন মমতা। যেমন, কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, যুবশ্রী, রূপশ্রী ইত্যাদি। সরকারের দাবি, যার সুবিধা পাচ্ছেন রাজ্যের কয়েক কোটি মানুষ। কিন্তু দিদিই জানান, এতো কিছু করার পরেও অনেকের মধ্যেই অসন্তোষ রয়েছে। অনেকেই মনে করছেন তাঁরা কিছু পাচ্ছেন না। এর উদাহরণ দিতে এ দিন ঝাড়গ্রামের এক বৃদ্ধার উদাহরণও দেন তৃণমূলনেত্রী। বলেন, উনি আমাকে বলেছেন, আমি কন্যাশ্রী পাইনি। এর অর্থ একটাই। ওনাকে কেউ বোঝায়নি। কন্যাশ্রী যে ওনার প্রাপ্য নয় এবং উনি যে সরকারেরই সৌজন্যে বার্ধক্য ভাতা, দু টাকা কেজি চাল, বিনা পয়সায় চিকিৎসা পাচ্ছেন তাঁকে বুঝিয়ে বলা হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, জেলায় গেলেই বিধায়করা বলেন, এখানে হাজার কোটি টাকার ব্রিজ বানিয়ে দিন। কিন্তু আমি বলছি, ব্রিজ হবে না। মানুষের সঙ্গে সেতু তৈরি করুন। পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের খানিকটা ভর্ৎসনার সুরেই বলেন, “আমি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খাটি। আপনার এলাকার কাজ কে করবে আপনি? না আমি গিয়ে ভাত মেখে খাইয়ে দিয়ে আসব?”
Be the first to comment