কাজ পাবেন, তাই দেশ ছে়ড়ে আফ্রিকার তানজানিয়ায় গিয়েছিলেন ১৩ বাঙালি।এজেন্ট মারফত পাচার হয়ে গিয়েছিলেন তানজানিয়ার বিভিন্ন জায়গায়। সেই বাঙালিদের খোঁজ পেল ন্যাশনাল অ্যান্টি ট্র্যাফিকিং কমিটি। দীর্ঘ ৬ মাস ধরে ওই ১৩ বাঙালি তানজানিয়ার কোনও একটি জেলে বন্দি। ঘটনায় নদিয়া থেকে এক এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, মোটা টাকার চাকরির লোভ দেখিয়ে ১৩ বাঙালিকে পাচার করা হয়। ১৩ জনের বেশিরভাগই নদিয়া জেলার। তানজানিয়ার একটি অফিসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ধৃত এজেন্ট। ১৩ বাঙালির কাছ থেকে মাথা পিছু ১ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। তারপরেই তানজানিয়ায় পাচার করা হয়। ধৃত ২ এজেন্টের একজনের নাম শ্রীমন্ত বিশ্বাস। নদিয়ার কোন্ জায়গায় তার অফিস এখনও জানা যায়নি। তার মাধ্যমেই রাজ্য থেকে ১৩ বাঙালি পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে, এই পাচার চক্রের মূল মাথা দিল্লির। সেই এজেন্টকেও দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।তার নাম নাদিম সালাফি বলে জানা যাচ্ছে। শনিবারই তাকে কলকাতায় নিয়ে আসার কথা।
তানজানিয়ায় বন্দি বাঙালিদের ফেরাতে বিদেশ মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছেন এনএটিসি-র চেয়ারম্যান শেখ জিন্নার আলি। তিনি জানাচ্ছেন, “মালয়েশিয়া এখনও আটকে অসংখ্য বাঙালি।সেই তদন্তে নেমেই একের পর এক পাচার চক্রের খোঁজ মিলছে। তানজানিয়ার জেলে বন্দি বাঙালিদের অবস্থাও খুব খারাপ। তাঁদের খেতে দেওয়া হচ্ছে না।১৩ জনের নাম বিদেশ মন্ত্রকের কাছে পৌঁছেছে।
মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া,ইরান এবার তানজানিয়া। রাজ্য থেকে লক্ষ লক্ষ যুবক এই দেশগুলিতে পাচার হচ্ছেন। সৌদি আরবও এই তালিকায় রয়েছে। তবে এখনও সৌদিতে আটক বাঙালিদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এনএটিসি-র দাবি, দিল্লি-রাজস্থান থেকে পাচার চক্র কাজ করছে। সেই চক্রের এজেন্টরাই পশ্চিমঙ্গের বিভিন্ন জেলায় অফিস খুলে বসে রয়েছে। যাদের কাজ চাকরির লোভ দেখিয়ে মানুষ পাচার করা।
তানজানিয়ায় বন্দি বাঙালিদের প্রত্যেকের পাসপোর্ট কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই তাদের জেলে বন্দি করা হয় বলে খবর। বন্দি ১৩ বাঙালির পরিবারের দাবি তানজানিয়া যাওয়ার পর থেকেই তাদের উপর অত্যাচার শুরু হয়। গত কয়েকমাস ১৩ বাঙালির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এনএটিসি বিষয়টি জানার পরই বাঙালিদের বন্দিদশার খবর আসে।
Be the first to comment